ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের বাস্তবায়ণ করবে রাজ্যই, জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার এই প্রকল্পের কাজ এগলো আরও এক ধাপ। প্রায় ১৯ কোটি ২৬ লক্ষ ৮১ হাজার টাকা ব্যয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমার দাসপুরে চন্দ্রেশ্বর ও হাঁড়িঘাটা খালের উপর নির্মিত হতে চলেছে কংক্রিটের ছটি সেতু। আজ মঙ্গলবার টেন্ডার প্রক্রিয়ার কাজও সম্পন্ন হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের অন্তর্গত পাঁচটি সেতু তৈরি করা হবে যথাক্রমে বনাই গ্রাম পঞ্চায়েতের ভুঁইয়াড়া, সাহাচক গ্রাম পঞ্চায়েতের উদয়চক, রানিচকের দরি অযোধ্যার সামন্তপাড়া ও নাপিতপাড়া এবং চাইপাট গ্রাম পঞ্চায়েতের চাইপাটে। ঘাটাল মহকুমা সেচ দপ্তর জানিয়েছে, চলতি মাসেই শুরু হতে চলেছে কংক্রিটের এই সেতুগুলি তৈরির কাজ। দীর্ঘদিনের এই দাবি পূরণ হওয়ায় খুশি দাসপুরের মানুষ।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের কৃষি ও সেচ কর্মাধ্যক্ষ তথা মাস্টার প্ল্যান মনিটরিং কমিটির অন্যতম সদস্য আশীষ হুদাইত বলেন, ‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়ণ করার আগে সেচ দপ্তরের এক বিশেষ উদ্যোগ এটি। মানুষের যাতায়াতের সুবিধার জন্য এই ছটি ব্রিজ তৈরি করা হচ্ছে। তবে এই ছটি ব্রিজ সেচ দপ্তরের বিশেষ প্রকল্পের মধ্যে তৈরি হলেও মাস্টার প্ল্যানেরই অন্তর্ভুক্ত।’
দাসপুর ২নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ প্রদীপ কুমার পোড়ে বলেন, ‘১৫টি ব্রিজের প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম আমরা। সেচ দপ্তর পাঁচটি ব্রিজের অনুমোদন দিয়েছেন। ওয়ার্ক অর্ডারও দেওয়া হয়ে গিয়েছে। খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে। এর ফলে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ এক ধাপ এগলো।’
অমল মণ্ডল নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘২০২৩ সালের জুলাই মাসে আমি জরাজীর্ণ সেতু থেকে পড়ে গিয়েছিলাম। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছি। স্থানীয়রাই আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রায় চার মাস শয্যাশায়ী ছিলাম। সেতু নির্মিত হলে হাজার হাজার মানুষ উপকৃত হবেন।’
উল্লেখ্য, রাজ্যের তরফে ২০২৮ সালের মার্চ মাসের মধ্যেই এই প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের রাজ্য বাজেটে এই প্রকল্পের জন্য মোট ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।