• দিলীপ ঘোষের বঁড়শিতে গাঁথল পুঁটি, ‘ভালো করে চারা দিতে পারেননি’, ভেসে এল কটাক্ষ
    এই সময় | ১২ মার্চ ২০২৫
  • অনেকেই বলেন বঁড়শি হাতে তাঁর লক্ষ্য নাকি অব্যর্থ। কিন্তু বিস্তর চারা দিয়েও মঙ্গলবার পুঁটি আর রুপচাঁদা মাছই জুটল দিলীপ ঘোষের কপালে। আর তা নিয়েই হালকা রসিকতার ছলে রাজনৈতিক কথাও চালাচালি হলো হুগলিতে। মোটের উপর সব পক্ষের বার্তা, দুয়ারে ছাব্বিশ, ‘বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচাগ্র মেদিনী’। 

    মঙ্গলবার পান্ডুয়ার তিন্নায় বিজেপির হুগলির জেলা সভাপতি তুষার মজুমদারের বাড়িতে গিয়েছিলেন প্রাক্তন সাংসদ। সেখানেই একটি পুকুরে দিলীপ ঘোষের জন্য মাছ ধরার আয়োজন করা হয়। দুঁদে নেতার জনসংযোগের সিগনেচার স্টাইল রয়েছে। বঁড়শি হাতে দিলীপ ঘোষের জনসংযোগ বঙ্গ রাজনৈতিক মহলে নতুন নয়।  

     এ দিন বিস্তর চারার ব্যবস্থা করা হয়েছিল দিলীপ ঘোষের মাছ ধরার জন্য। পিপড়ের ডিম, ভিজে পাউরুটির টোপ তো ছিলই। হঠাৎ ফাতনা নড়ে ওঠায় হ্যাচকা টান দেন দিলীপ ঘোষ। কিন্তু পুঁটিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাঁকে। দিপীল ঘোষ বলেন, ‘বালিখাদের জল গভীর। এখানে বড় মাছ আছে। তা ধরতে আলদা কায়দা দরকার। আমরা পুঁটি থেকে রুপচাঁদা সবই ধরলাম। ২৬-এর আগে বড় মাছ ধরব তার প্র্যাকটিস করছি।’

    হালকা ছলেও রাজনৈতিক খোঁচা দিয়েছেন এই প্রাক্তন সাংসদ। যদিও পাল্টা একহাত নিয়েছেন হুগলি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সম্পাদক অসিত চট্টোপাধ্যায়ও। তিনি দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের পাল্টা বলেন, ‘বিজেপি ঠিক ভাবে চারা দিতে পারছে না। তাদের জালে আর কোনও মাছ ধরা পড়ছে না। বরং জালে যারা আছে তারাই বেরিয়ে যাচ্ছে। নির্বাচন ঘোষণা হলেই তৃণমূলের অফিসে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছ জড়ো হবে, তৃণমূলকে জাল ফেলতে হবে না।’

    সরাসরি না হলেও দু’পক্ষের আক্রমণই বিস্তর রাজনৈতিক। সবমিলিয়ে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের বক্তব্য, ‘ভোট যে দোরগোড়ায়, তা বোঝাই যাচ্ছে…’। 

  • Link to this news (এই সময়)