‘মা ক্যান্টিনের সংখ্যা ৩৩০ ছাড়িয়েছে’, বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে বৃদ্ধিতে দাবি মেয়রের
হিন্দুস্তান টাইমস | ১২ মার্চ ২০২৫
গ্রামবাংলা এবং শহরতলি থেকে শহরে কাজে আসেন বহু মানুষ। কিন্তু কম পয়সায় পেট ভরা খাবার সর্বত্র মেলে না। আবার অফিসে বেরিয়ে রাস্তায় একটু পেট ভরা খাবার খেতে গেলে অনেক টাকা দাম দিতে হয়। এই পরিস্থিতির কথা অনুধাবন করেই সকল মানুষের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের মস্তিস্কপ্রসূত ‘মা ক্যান্টিন’ যাত্রা শুরু করে। মাত্র ৫ টাকাতেই পেট ভরে খাবার পাওয়া যায় এই মা ক্যান্টিনে। খাবারের মেনুতে আছে ভাত, সবজি এবং ডিম। গরম পেট ভরা খাবার দুপুরবেলা খেয়ে অনেকেই তৃপ্ত হন। এবার এই ‘মা ক্যান্টিন’ সম্প্রসারণে বাড়তি উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার।
মা ক্যান্টিনের খাবারের মান উন্নয়নের জন্য ইতিমধ্যেই ১২৮ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে। বিধানসভায় এই তথ্য তুলে ধরে মা ক্যান্টিনের সম্প্রসারণের বিবরণ দেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ‘২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছিল। এখন ব্লক, পুরসভা এবং কর্পোরেশন এলাকায় চলছে ‘মা ক্যান্টিন’। এমনকী ৩৩টি মেডিক্যাল কলেজ এবং জেলা হাসপাতালেও ‘মা ক্যান্টিন’ চালু রয়েছে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রত্যেক মাসে প্রায় ২২ লক্ষ মানুষ মা ক্যান্টিনের খাবার খান। এখনও পর্যন্ত সাড়ে সাত কোটির বেশি মানুষ এই প্রকল্পের সুবিধা নিয়েছেন। এখন রাজ্যের ৩৩১টি জায়গায় চলছে ‘মা ক্যান্টিন’। এই সংখ্যাটা আরও বৃদ্ধি করার জন্য রাজ্য সরকার অতিরিক্ত বরাদ্দও করেছে।’
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে চালু হওয়া ‘মা ক্যান্টিন’ কম সময়েই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এবার বছর ঘুরলেই আবার বিধানসভা নির্বাচন হবে বাংলায়। আবারও তাই মা ক্যান্টিনের উন্নয়নে জোর দিতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রথমে মাত্র ৩২টি ‘মা ক্যান্টিন’ নিয়ে চালু হয়েছিল ওই প্রকল্প। ২০২২ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে হয় ২১২। এখন মা ক্যান্টিনের সংখ্যা ৩৩০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। এখানে মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের দিয়েই চালানো হয় ‘মা ক্যান্টিন’। এই বিষয়ে ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, ‘যাঁরা দূরদূরান্ত থেকে শহরে নানা কাজে আসেন, খাবার বানিয়ে আনতে পারেন না অথবা অর্থের অভাবে বাইরের খাবার খেতে পারেন না। তাঁদের কথা ভেবেই স্বল্পমূল্যে পুষ্টিকর খাবারের ব্যবস্থা করা হয় এই মা ক্যান্টিনে। অফিস পাড়া থেকে কোর্ট চত্বরে মা ক্যান্টিনের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে।’
২০২৪ সালে নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেকটি বাজার এবং ‘অফিসপাড়ায়’ ‘মা ক্যান্টিন’ চালুর নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই নির্দেশ পাওয়ার পরই এমন ব্যবস্থা শুরু করেছিল রাজ্য সরকারের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওই নির্দেশের সাত মাস পেরিয়ে গিয়েছে। এখন ফিরহাদ হাকিম জানালেন, মা ক্যান্টিনের প্রসারে রাজ্য সরকার মনোনিবেশ করেছে। তাই বরাদ্দও বাড়ানো হয়েছে। আরও কিছু ভাবনা রয়েছে।