শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরিতে বসন্তউৎসব পালনে বনদফতরের নিষেধাজ্ঞায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালেন বিধানসভায় বিজেপির মুখ সচেতক শংকর ঘোষ। মঙ্গলবার হিন্দুস্তান টাইমসকে তিনি বলেন, রাজ্য সরকার হিন্দুদের অনুষ্ঠানে বিধিনিষেধ চাপানোর শুধু ছুতো খোঁজে। ওদিকে যখন অন্য কোনও ধর্মের অনুষ্ঠানের পর রাস্তার পাশে পশুর দেহাংশের স্তূপ পড়ে থাকে সেদিকে তাদের নজর যায় না। তার ওপর কোনও বিধিনিষেধ চাপানোর ক্ষমতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের নেই।
আগামী ১৪ মার্চ শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে দোলযাত্রা। ২০১৯ সাল থেকে বিশ্বভারতীর অন্দরে বসন্তোৎসব পালন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এর পর শান্তিনিকেতনে রং খেলতে যাওয়া মানুষের অন্যতম গন্তব্য ছিল সোনাঝুরির হাট। সোমবার এক নির্দেশিকা জারি করে বন দফতরের আধিকারিক রাহুল কুমার জানিয়েছেন, দোলের দিন সোনাঝুরির হাটে রং খেলা, ভিডিয়ো তোলা, ড্রোন ওড়ানো ও গাড়ি পার্কিং নিষিদ্ধ। বনাঞ্চল বাঁচাতে ও দূষণ রুখতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, প্রতি বছর দোলে হাজার হাজার মানুষ সোনাঝুরির হাটে এসে রং খেলায় মেতে ওঠেন। তার পর সেখানে প্রচুর প্লাস্টিকের জলের বোতল, মদের বোতল, প্লাস্টিক ও অন্যান্য আবর্জনা পড়ে থাকে। তাতে পরিবেশ দূষণ হয়।
কিন্তু বনদফতরের এই সিদ্ধান্তকে হিন্দুদের ধর্মবিশ্বাসে আঘাত বলে দাবি করেছেন শংকর ঘোষ। তিনি বলেন, যত বিধিনিষেধ শুধু হিন্দুদের বেলায়। হিন্দু ধর্ম এই দেশের জল, মাটি ও হাওয়ায় হাজার হাজার বছর ধরে গড়ে উঠেছে। তাদের বিরুদ্ধে সরকার পরিবেশ দূষণের অভিযোগ আনছে? আর অন্য ধর্মের অনুষ্ঠানে যখন রাস্তার পাশে পশুর দেহাংশের স্তূপ পড়ে থাকে তখন কি দেখতে পায় না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার? প্লাস্টিক আর জলের বোতলে দূষণ হয় ঠিকই, কিন্তু পশুর দেহাংশ থেকে কি তার থেকে কম দূষণ হয়? আর যারা আমাদের দেশের প্রাণীসম্পদ ধ্বংস করছে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপানোর সাহস হয় না কেন মুখ্যমন্ত্রীর? এই সরকারের একমাত্র লক্ষ্য মুসলিম তোষণ। আর সেজন্য এরা হিন্দুদের অনুষ্ঠানে বিধিনিষেধ আরোপের ছুতো খোঁজে। শান্তিনিকেতনে যারা দোল খেলতে যান তারা সবাই শিক্ষিত মানুষ, তারা এর বিচার করবেন।