• চারজন সাংসদ তৃণমূলে আসার জন্য তৈরি, কজন MLA যোগাযোগ রাখছেন? বোমা ফাটালেন কুণাল
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১২ মার্চ ২০২৫
  • সবে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে গিয়েছেন হলদিয়ার বিধায়ক তাপসী মণ্ডল। এনিয়ে কিছুটা হলেও চাপে পড়েছে গেরুয়া শিবির। আর এবার একেবারে শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে বড় আঘাত। তবে এসবের মধ্যেই বিজেপির স্নায়ুর চাপ বাড়িয়ে দিলেন কুণাল ঘোষ। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের দাবি, বিজেপির অন্তত চারজন সাংসদ তৈরি হয়ে বসে আছেন। 

    কুণাল ঘোষ বলেন, বিজেপিতে অন্তত ৪জন সাংসদ তৈরি হয়ে বসে আছেন। বিজেপির একঝাঁক বিধায়কও তৈরি। শুধু সময়ের অপেক্ষা। বিজেপির অন্তত ১০ থেকে ১২জন নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। তিনি বলেন, অনেকে তৈরি। এখনও বিজেপির মধ্যে থাকলে আমাদেরই সুবিধে। তাহলে আমাদের খবর টবরগুলোও পেতে পারি। প্রসেস তো চলছে। এই প্রসেস তো নতুন কিছু নয়। তারাই আসতে চাইছেন। এর মানে নয় যে তৃণমূল তাদেরকে আনতে চায়। দাবি কুণাল ঘোষের। 

    ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোট। তার এখনও প্রায় এক বছর বাকি রয়েছে। তার আগেই শুরু হয়ে গিয়েছে দলবদলের পালা। এর মধ্য়েই দল বদলে ফেলেছেন হলদিয়ার বিজেপি বিধায়ক তাপসী মণ্ডল। একটা সময় সিপিএমে ছিলেন। তারপর বিজেপিতে যান। এবার তিনি তৃণমূলে। ইতিমধ্য়েই শুভেন্দু অধিকারী তাঁকে নিশানা করে তোপ দেগেছেন। পালটা তোপ দাগছেন তাপসীও। কিন্তু বাংলার রাজনীতিতে একটাই প্রশ্ন এবার কার পালা? 

    কে কার ঘর ভাঙাতে পারবে তা নিয়েই এবার বড় প্রশ্ন। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ভোট যত এগিয়ে আসে ততই বাংলায় রাজনীতির উঠোনে শুরু হয় দলবদলের পালা। এর আগেও দেখা গিয়েছিল দলে দলে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন। তবে এবার ভোটের এক বছর আগে হলদিয়ার বিজেপি বিধায়ক চলে গেলেন তৃণমূলে। এবার কে যাবেন? 

    বিজেপি কি পারবে তৃণমূলের কোনও হেভিওয়েটকে নিজেদের দিকে নিয়ে আসতে? তাপসী মণ্ডল দল ছাড়লেন কেন? 

    তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরে তাপসী মণ্ডল সংবাদমাধ্যমে বলেছিলেন, মানুষকে সঙ্গে নিয়ে মানুষের কাজ করাটাই আমাদের কাজ। বিভাজনের রাজনীতি আমার পক্ষে মেনে নেওয়া কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছিল। বিভিন্নভাবে প্রতিবাদ করার পরেও কোনও সুরাহা হয়নি। বাংলার মাটিতে বিভাজনের রাজনীতি চলছে। প্রগতিশীল বাংলাকে রক্ষা করতে, বিশেষ করে আমার হলদিয়া, শিল্প পরিকাঠামো, বেকার যুবক যুবতীদের কর্মসংস্থান ও সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্য দাঁড়িয়ে তাদের জন্য় যাতে কাজ করতে পারি মাননীয় মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে যুক্ত হলাম, তাঁর নির্দেশে কাজ করতে পারব। সামগ্রিকভাবে এই বিভাজনের রাজনীতি বন্ধ করে, প্রগতিশীল রাজনীতির প্রেক্ষাপটের রাজনীতি সমস্ত স্তরের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে একটা সুন্দর বাংলা তৈরি করব । উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে এই আশা রাখি।

    তিনি বলেছিলেন, আমি দেখলাম লোকসভার জায়গায় দাঁড়িয়ে ঐক্যটা ভেঙে দিয়ে বিভাজন তৈরি হচ্ছে। সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে একসঙ্গে চলার পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। আগেও যখন শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে ছিলাম তখনও কোনও কাজের সুযোগ পেতাম না। বিজেপিতে গিয়েও কোনও কাজের মধ্য়ে যুক্ত হতে পারিনি। শিক্ষিত বেকার প্রতিনিয়ত বাড়ছে। বললেন তাপসী মণ্ডল।

    তাপসী মণ্ডল বলেছিলেন, অভিজিৎ গাঙ্গুলিকে প্রার্থী করেছিলেন শুভেন্দুবাবু। তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে ওনাকে বাইরে থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাইরে থেকে গিয়ে এলাকার কর্মীদের সঙ্গে, বিধায়কের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়া স্বাভাবিক পরিবেশ নয়। তাকে সামনে রেখে, তার মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা হচ্ছে। এটাই বাস্তব। তিনি বলেন বিধায়কের টিকিটের জন্য আমি লালায়িত নই। তিনি বলেন, জিতব কি জিতব না সেটা তো যখন ভোট হবে তখনই বোঝা যাবে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)