• স্বামীকে নিয়ে পালিয়েছেন ৩ সন্তানের এক মা, থানায় নালিশ ঠুকলেন স্ত্রী
    এই সময় | ১২ মার্চ ২০২৫
  • বাড়িতে দুই নাবালক সন্তান রয়েছে, রয়েছে ১২ বছরের স্ত্রী। পরিবারের মাথায় ঋণের বোঝা রয়েছে। অভিযোগ, সেই অবস্থাতেই তাঁদের ফেলে রেখে অন্য মহিলার হাত ধরে পালিয়ে গেলেন এক ব্যক্তি। আর স্বামীকে ফিরে পাওয়ার দাবি নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন তাঁর স্ত্রী। মুর্শিদাবাদ জেলার সালার থানার কাগ্রামের ঘটনা।

    প্রায় ১২ বছর আগে কাটোয়া থানার গাজীপুরের বাসিন্দা শাহবুদ্দিন শেখের সঙ্গে কোহিনূর বিবির হয়। তাঁদের দুই পুত্র সন্তান রয়েছে। শাহবুদ্দিন পেশায় লেপ-তোষকের কারিগর। অভিযোগ, এই শাহবুদ্দিন নজিফা খাতুনকে বিয়ে করে পালিয়ে গিয়েছেন।

    পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, কাগ্রামের বাসিন্দা নজিফা খাতুনের এর আগে সালার থানার হামিদপুরের এক ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল। তাঁদের এক ছেলে ও যমজ কন্যা সন্তান রয়েছে। বছর খানেক আগে অসুস্থ হয়ে নজিফার স্বামী মারা যান। তখন তিন সন্তানকে নিয়ে নজিফা বাবার বাড়ি কাগ্রামে এসে থাকতে শুরু করেন। শাহবুদ্দিন ও নজিফার পরিচয় কী ভাবে হলো?

    কোহিনূর বিবি বলেন, ‘আমার স্বামী তুলোর ব্যবসা করতে বিহারে গিয়েছিল। সেখানে থাকতে থাকতেই ওই মহিলার সঙ্গে ফোনে আলাপ এবং সেখান থেকে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়।’ এর পরে বিহার থেকে ফিরেও গাজীপুরের বাড়িতে আসেননি শাহবুদ্দিন।

    কোহিনূরের অভিযোগ, বিহার থেকে ফিরে গাজীপুরের বাড়ি না গিয়ে কাগ্রামে ওই মহিলার বাড়িতে এসে ওঠেন তাঁর স্বামী। তার পরে ওই মহিলাকে বিয়ে করে ফের বিহারে ফিরে যান, দিন কুড়ি আগে। কোহিনূর বলেন, ‘এর পরে তিন দিন আগে ফের কাগ্ৰামে আমার স্বামী এসেছে বলে খবর পাই। সেই মতো সোমবার সকালে আমি কাগ্রামে এসে জানতে পারি ওই মহিলা আগের দিন অর্থাৎ রবিবার আমার স্বামীকে নিয়ে কাগ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে।’

    এ দিকে ওই ঘটনা জানাজানি হতেই কাগ্রামে শোরগোল পড়ে যায়। গোটা গ্রাম ভিড় করে নজিফাদের বাড়িতে। পরে কোহিনূর বিবি সালার থানায় ও কাটোয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে স্বামীকে তাঁর কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান। কোহিনূর বিবি বলেন, ‘প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকার কিস্তি রয়েছে। ওই টাকা প্রতি মাসে মেটাতে না পারলে পথে বসতে হবে আমাকে। এখন আমার ও আমার দুই ছেলের দ্বায়িত্ব কে নেবে!’

    নজিফার বাবা নজরুল শেখ বলেন, ‘মেয়ে যে বিয়ে করেছে, সে খবর আমি জানতাম না। মেয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার পরে সে কথা জানতে পেরেছি। এখন তার ভালমন্দ সে বুঝে বিয়ে করেছে। এতে আমার কি বলার আছে।’ পুলিশ অবশ্য লিখিত অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে বলে সালার থানা সূত্রে জানা গিয়েছে।

  • Link to this news (এই সময়)