যাদবপুরে ‘আজাদ কাশ্মীর’ গ্রাফিতি বিতর্কে নাম জড়িয়েছে PDSF-এর, কে তারা?
হিন্দুস্তান টাইমস | ১২ মার্চ ২০২৫
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়ালে 'আজাদ কাশ্মীর' গ্রাফিতি ঘিরে বিতর্ক চরমে। এই আবহে কলকাতা পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছ। সেই গ্রাফিতির নীচেই লেখা আছে অতিবাম সংগঠন পিডিএসএফ-এর নাম। এই আবহে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পিডিএসএফের সদস্যদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। এই আবহে পিডিএসএফের সদস্যদের তালিকা তৈরির কাজও শুরু হয়েছে। এদিকে তদন্তের খাতিরে যাদবপুর থানা থেকে পুলিশ আধিকারিকরা এসে 'আজাদ কাশ্মীর' গ্রাফিতির সেই ছবিটি তুলে নিয়ে গিয়েছেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, পিডিএসএফের সদস্যদের তালিকা তৈরির কাজ শেষ হলে সংগঠনের সদস্যদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে পুলিশ।
রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন নম্বর গেটের কাছে একটি দেয়ালে 'আজাদ কাশ্মীর' ও 'ফ্রি প্যালেস্টাইন' লেখা গ্রাফিতি দেখা গিয়েছিল। এদিকে এই গ্রাফিতি বিতর্কে প্রথম থেকেই 'অতিবাম সংগঠনকেই' দায়ী করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস ছাত্র পরিষদ। শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি নেতারাও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে 'অ্যান্টি ন্যাশনাল হাব' আখ্যা দিয়েছেন। এদিকে এই ঘটনায় কোনও ভাবে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে সিপিআইএম-এর ছাত্র ইউনিট এসএফআই।
এদিকে যে পিডিএসফ-এর দিকে আঙুল উঠেছে, তাদের ফেসবুক পেজ অনুযায়ী, তারা 'বিপ্লবী বামপন্থী ছাত্র সংগঠন'। পুরো নাম - 'প্রোগ্রেসিভ ডেমোক্র্যাটিক স্টুডেন্ট ফেডারেশন'। যাদবপুর কাণ্ড নিয়ে তাদের বক্তব্য, 'যাদবপুরে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি চাপা দেওয়া ও ইউনিয়ন ইলেকশনের দাবীতে বিক্ষোভ প্রদর্শনের সময়ে একাধিক ক্ষেত্রে পুলিশ ও তৃণমূলের গুণ্ডা বাহিনী হামলা চালিয়েছে এবং সেই পুলিশই আবার ছাত্রছাত্রীদের আটক করে অত্যাচার চালায়। ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনে এই ধরণের দলীয় সন্ত্রাস ও পুলিশি জুলুমবাজির নিদর্শন সাম্প্রতিক অতীতে আমরা বারংবার দেখেছি। শাসক গোষ্ঠী ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর এই আগ্রাসন আক্রমণকে ধিক্কার জানায় PDSF। পুলিশ-প্রশাসনের অগণতান্ত্রিক ও অস্বচ্ছ পক্ষপাতদুষ্ট আচরণকে ধিক্কার। ছাত্রছাত্রীদের উপর হামলা চালানো শিক্ষামন্ত্রী ও তার দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।'