ওবিসি সার্টিফিকেট মামলায় বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে ভার্চুয়ালি হাজির হন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। আদালতের নির্দেশ কেন অমান্য করা হচ্ছে, সেই প্রশ্ন তুলে মুখ্যসচিবকে তলব করেছিল হাইকোর্ট। বুধবার হাজিরা দিয়ে ক্ষমাও চেয়ে নেন মুখ্যসচিব। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, হাইকোর্টের নির্দেশ অগ্রাহ্য করে সরকারের যে সব বিভাগ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে, সেই বিভাগের অফিসারদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। কী পদক্ষেপ নেওয়া হলো ২ এপ্রিলের মধ্যে মুখ্যসচিবকে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে।
মুখ্যসচিবের কাছে এ দিন আদালত জানতে চায়, ‘আপনারা বারবার কোর্টে আশ্বাস দেওয়ার পরেও কী করে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে? মুখ্যসচিবের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই?’ মনোজ উত্তরে বলেন, ‘আমরা বারংবার আদালতের নির্দেশ সব বিভাগে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। তার পরেও কিছু বুঝতে সমস্যা হয়েছিল। তবে আর কোনও সংশয় নেই। মামলার নিষ্পত্তি হওয়ার আগে আর নিয়োগ হবে না।’ ওবিসি সার্টিফিকেট সংক্রান্ত মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য। মামলাটি এখন দেশের শীর্ষ আদালতে বিচারাধীন।
গত বছর হাইকোর্ট প্রায় ১২ লক্ষ ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিলের নির্দেশ দেয়। আদালত জানিয়ে দেয়, ২০১০ সালের পর থেকে ওবিসি শংসাপত্র প্রাপকদের যে তালিকা তৈরি করা হয়েছে, তা ১৯৯৩ সালের ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস আইনের পরিপন্থী। এর পরেও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে নিয়োগে নতুন করে সেই সব সার্টিফিকেট ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠতে থাকে।
আদালত এ দিন মুখ্যসচিবের কাছে জানতে চায়, ‘আপনি রাজ্যের মাথায় বসে থাকার পরেও আপনার অধস্তনরা আপনার কথা শুনছেন না! এটা আমাদের কাছে যন্ত্রণার। যদি কেউ আপনাদের নির্দেশ না মানে তা হলে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যাবস্থা নেবেন না?’ আদালতের কাছে ক্ষমা চেয়ে মনোজ বলেন, ‘আর এই ভুল হবে না। আমরা পদক্ষেপ করব।’