সুমন ঘোষ ■ খড়্গপুর
জ়িরো-থ্রেশহোল্ড রমন লেজ়ার উৎপন্ন করে যুগান্তকারী সাফল্য পেল খড়্গপুর আইআইটি। যে ন্যানো স্কেল লেজ়ার টেকনোলজি কোয়ান্টাম কমিউনিকেশন টেকনোলজির চলার পথকে সুগম করবে বলেই দাবি আইআইটির পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক সজল ধারর। তিনি বলেন, ‘এটা শুধু জ়িরো থ্রেশোল্ড লেজ়ারই নয়। এই লেজ়ারের ফ্রিকোয়েন্সি পরিবর্তনের রেঞ্জও খুব বেশি। ফলে কোয়ান্টাম কমিউনিকেশন টেকনোলজির পথ সুগম করতে সাহায্য করবে এই জ়িরো থ্রেশোল্ড রমন লেজ়ার।’ এ ছাড়াও ন্যানোস্কেল লেজ়ার প্রযুক্তিতে এটি বিপ্লব ঘটাতে পারে বলেও দাবি আইআইটির। তাই এই আবিষ্কারকে খড়্গপুর আইআইটি কর্তৃপক্ষও মাইলফলক বলে উল্লেখ করছেন।
সম্প্রতি ‘জ়িরো-থ্রেশহোল্ড পিটি-সিমেট্রিক পোলারিটন রমন লেজ়ার’ নামক এই গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে ফিজিক্যাল রিভিউ বি-জার্নালে। ভারত সরকারের সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের অর্থানুকূল্যে এই গবেষণার কাজ হয়েছে খড়্গপুর আইআইটিতে। কিন্তু কী এই জ়িরো-থ্রেশহোল্ড রমন লেজ়ার?
এতদিন লেজ়ার উৎপন্ন করতে হলে পাম্প করে লাইটের ইনটেনসিটিকে নির্দিষ্ট ক্ষমতায় আনার প্রয়োজন হতো। তবেই লেজ়ার উৎপন্ন হতো। কিন্তু এই গবেষণায় দু'টি মিররকে ২০০ ন্যানোমিটার দূরত্বে রেখে, তার মাঝে ১০ ন্যানোমিটার বা তারও কম সাইজের সেমিকন্ডাক্টর লেয়ার স্যান্ডুইচ করা হয়। যেখানে অণুরা একটা সুসামঞ্জস্য পদ্ধতিতে থাকে। তারপর বাইরের রেজ়োনেটরের মাধ্যমে আলো ফেলা হয়। আলোর যেমন একটি কম্পন রয়েছে, তেমনই সুসামঞ্জস্য অণুদেরও কম্পন রয়েছে। দুই কম্পনের মিলনের ফলে হচ্ছে রমন স্ক্যাটারিং। সেই রমন স্ক্যাটারিং মিররের রেজ়োন্যান্সের কারণে তৈরি হচ্ছে জ়িরো থ্রেশহোল্ড রমন লেজ়ার।
গবেষক সজল ধারা বলেন, ‘এই জ়িরো থ্রেশহোল্ড রমন লেজ়ার উৎপন্ন হচ্ছে পদার্থবিদ্যার এক নতুন তত্ত্বের মধ্যে দিয়ে। যে তত্ত্বটিও উঠে এসেছে এই গবেষণায়। অর্থাৎ এই গবেষণার ফলে পদার্থবিদ্যারও একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো। যে তত্ত্বের মাধ্যমে ভবিষ্যতে পদার্থবিদ্যা নতুন দিশাও পেতে পারে।’