• রঙের উৎসবে রং দেবেন না পথ কুকুরদের, গ্রামে ঘুরে ঘুরে আবেদন কচিকাঁচাদের ...
    আজকাল | ১২ মার্চ ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: দোলের রং লাগুক মানুষের মনে। তা যেন না লাগে রাস্তার নিরীহ পথকুকুরদের গায়ে। এছাড়া রং খেলা এবং রং তোলার জন্য অকারণে জল অপচয় না হয়-এই সমস্ত বার্তা নিয়েই বুধবার মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গার আন্ডিরণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৭৭ জন ছাত্রছাত্রী পালন করল বসন্ত উৎসব। 

    দোল উৎসব বা হোলি রাধাকৃষ্ণের মিলন উৎসব। এই উৎসব বসন্তের আগমনকে উদযাপন করে। হিন্দু সংস্কৃতিতে এই উৎসব প্রায় পাঁচ হাজার বছরের বেশি পুরনো। ঐতিহাসিকেরা বলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পুত্র শমীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯০৭ সালে ঋতু উৎসবের সূচনা করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজেও শান্তিনিকেতনে বসন্ত উৎসবে অংশগ্রহণ করতেন। 

    দোল উৎসবের জন্য স্কুল ছুটি থাকার কারণে আজ আন্ডিরণ প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে বসন্ত উৎসব পালন করেন। উৎসব পালনের অঙ্গ হিসেবে ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন ধরনের সমাজ সচেতনতামূলক পোস্টার নিয়ে গ্রামের রাস্তায় প্রদক্ষিণ করেন। 

    স্কুলের এক ছাত্র বলেন, 'আমরা মাস্টারমশাইদের কাছ থেকে জেনেছি রাস্তার কুকুরদের গায়ে রং দিতে নেই। কারণ তারা মানুষের মতো নিজেদের গায়ে লেগে থাকা রং তুলতে পারে না। জিভ দিয়ে রং চাটার ফলে তাদের দেহে বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ ঢুকে অনেক সময় পথ কুকুররা অসুস্থ হয়ে পড়ে।'

    এছাড়াও ছাত্রছাত্রীরা বলেন, 'মানুষের অসচেতনতার জন্য প্রত্যেকদিন দেশে প্রায় এক লক্ষ লিটার পানীয় জল নষ্ট হয়ে। রং তুলতে এবং রং খেলার সময় আমরা যদি সকলে সচেতন হই, তাহলে দোলযাত্রার দিন গোটা দেশজুড়ে কয়েক লক্ষ লিটার জল অপচয় রোধ করা সম্ভব হবে।' 

    এছাড়াও ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে ছিল বাল্যবিবাহ রোধ, রক্তদান, বৃক্ষরোপন সহ বিভিন্ন সমাজ সচেতনতামূলক বিষয় নিয়ে লেখা পোস্টার। স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ দত্ত বলেন, 'ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে দোল এবং বসন্ত উৎসবের গুরুত্ব এবং তার ঐতিহাসিক পটভূমিকা বোঝানোর জন্য আজকের এই আয়োজন। গ্রামের পথে ঘুরে ঘুরে সমস্ত মানুষকে রং খেলার সময় কী করা উচিত তা ছাত্রছাত্রীরা বুঝিয়ে বলে। পাশাপাশি তারা এলাকার গুরুজনদের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে দোল উৎসবের জন্য সকলের আশীর্বাদ গ্রহণ করে।'
  • Link to this news (আজকাল)