• গ্রেপ্তার প্রাক্তন ব্যক্তিগত সচিব, দূরত্ব তৈরি করলেন অধীর
    আজকাল | ১২ মার্চ ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভুয়ো পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা তোলার অভিযোগে রাজ্য পুলিশের হাতে হলদিয়ার চৈতন্যপুর থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন বহরমপুরের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর প্রাক্তন ব্যক্তিগত সচিব প্রদীপ্ত রাজ পুরোহিত। 

    এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর প্রাক্তন সচিবের সঙ্গে  দূরত্ব তৈরি করলেন কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য অধীর চৌধুরী। বুধবার বহরমপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এই প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরী বলেন,'আমি একবারও বলছি না ওই ব্যক্তিকে পুলিশ ষড়যন্ত্র করে ফাঁসিয়েছে। এই ক্ষেত্রে পুলিশ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।' প্রসঙ্গত বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের পাঁচবারের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত সচিব ছিলেন প্রদীপ্ত। হলদিয়ার সুতাহাটা থানার অন্তর্গত চৈতন্যপুরের বাসিন্দা প্রদীপ্ত দীর্ঘদিন ধরেই দিল্লিতে থাকতেন। সেই সূত্রেই তাঁর সঙ্গে অধীর চৌধুরীর পরিচয় বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর ওই যুবক বর্তমানে লোকসভায় 'রিসার্চ অফিসার' পদে কর্মরত ছিলেন। কেন্দ্র সরকারের কোনও এক যুগ্ম সচিবের নাম ভাঁরিয়ে জালিয়াতি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে ।

    সম্প্রতি রাজ্য পুলিশের কাছে অভিযোগ জমা পড়ে ওই যুবক নীল বাতি লাগানো গাড়ি ব্যবহার করছেন এবং বিভিন্ন জনের কাছে নিজের ভুয়ো পরিচয় ব্যবহার করে লক্ষাধিক টাকা তুলেছেন।

    সূত্রের খবর গত বছরের লোকসভা নির্বাচনে অধীর চৌধুরী পরাজয়ের পর প্রদীপ্ত ধীরে ধীরে বিজেপি নেতাদের ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করেছিলেন। প্রদীপ্তের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা হওয়ার পরেই রাজ্য পুলিশ গতকাল রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানা গিয়েছে। 

    গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরী বলেন,' কংগ্রেসের সাংসদ থাকার সময় ৩-৪ জনকে আমি আমার ব্যক্তিগত সচিব হিসেবে পেয়েছি । এই পদ এবং নিযুক্ত ব্যক্তিদের বেতন দেশের সংসদের তরফ থেকে দেওয়া হয়। '

    তিনি বলেন, 'আমি যখন সংসদে কাজের অভিজ্ঞতা আছে এরকম একজন ব্যক্তিকে খোঁজ করছিলাম সেই সময়ে ওই যুবকের বাবা এসে তাঁদের আর্থিক অনটনের কথা আমাকে জানায় এবং দিল্লিতে থাকা ওই যুবককে আমার ব্যক্তিগত সচিব হিসেবে রাখার জন্য অনুরোধ করেন। ওই যুবক আমার সঙ্গে কাজ করার সময় যথেষ্ট দক্ষতার সঙ্গে ভালো কাজ করেছেন।'

    অধীরবাবু আরও বলেন, 'লোকসভা নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর থেকে ওই যুবক আর আমার ব্যক্তিগত সচিবের পদে নেই। সে এখন সংসদের একজন কর্মী।'

    কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী দাবি করেন, 'পশ্চিমবঙ্গ ওই যুবকের বাড়ি কোথায় তা আমি জানি না। আমি তাঁর বাড়িতেও কখনও যাইনি। কবে তিনি বাড়ি ফিরেছিলেন সেটাও আমার জানা নেই। আমার সাংসদ পদ চলে যাওয়ার পর তাঁর সঙ্গে আমার যোগাযোগ খুবই কমে এসেছিল। তবে জরুরি কোনও কাজে বা প্রয়োজনে আমি তাঁকে মাঝেমধ্যে ফোন করেছি।'

    অধীর বলেন, 'গতকাল রাতে ওই যুবকের পরিবারের লোকেরা আমাকে ফোন করে গোটা ঘটনাটি জানিয়েছে। আমি তারপরে নিজের মত খোঁজ খবর করেছি। আমি একবারও বলছি না পুলিশ ওই যুবককে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসিয়েছে। আমি গোটা বিষয়টি নিয়ে কাউকে ব্যক্তিগত স্তরে কোনও অনুরোধ করিনি। পুলিশ নিজের মত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।'
  • Link to this news (আজকাল)