অর্ণবাংশু নিয়োগী: আদালতে স্বস্তি পেলেন না যাদবপুরের ছাত্র উদ্দীপন কুন্ডু। এই মুহূর্তে কোনও অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেওয়া সম্ভব না। জানালেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে পুলিস। এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহে পরবর্তী শুনানি। পুলিস বারবার দেখে হেনস্তা করছে এবং মোবাইল ফোন জমা করার জন্য বলছে। এই মর্মে আদালতের দ্বারস্থ হন উদ্দীপন। শুনানির দিন সবপক্ষের হলফনামা আদান প্রদানের নির্দেশ।
যেহেতু মামলাকারীর নাম FIR এ আছে তাই আদালত এই মুহূর্তে হস্তক্ষেপ করবে না বলে জানালেন বিচারপতি। বুধবার তাঁর আইনজীবী আদালতে জানান, শুধু ডেকে পাঠানোই নয়, ওই ছাত্রের মোবাইল ফোনও চেয়েছে পুলিশ। আইনজীবীর সওয়াল, মোবাইল ব্যক্তিগত জিনিস। সুপ্রিম কোর্ট মোবাইলকে ব্যক্তিগত ডিভাইস হিসাবে চিহ্নিত করেছে। তা হলে কেন মোবাইল দিতে হবে?
বিচারপতির বক্তব্য, অভিযুক্ত হিসাবে নাম থাকা ওই ছাত্রকে স্বস্তি দিলে খারাপ বার্তা যেতে পারে। আদালত একই সঙ্গে জানায়, একজন ছাত্রকে যাতে ওই মোবাইল ফোন জমা দিয়ে নতুন মোবাইল ফোন পড়াশোনার জন্য কিনতে না হয়, সেটাও পুলিসকে নিশ্চিত করতে হবে। এপিল মাসে মামলার পরবর্তী শুনানি। মোবাইল ডেটা কপি করে পুলিসকে দেওয়ার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন করতে পারে FIR অভিযুক্তরা। পর্যবেক্ষণ বিচারপতি’র।
তবে রাজনৈতিক সংগঠনগুলির ১৩ মার্চ পর্যন্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। বুধবার সেই নির্দেশ প্রত্যাহার করে নিল হাইকোর্ট।