অসিত রজক, বিষ্ণুপুর: গতকাল মঙ্গলবার উচ্চমাধ্যমিকে কেমিস্ট্রি পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরেছিল পরীক্ষার্থী। তারপর কিছু জিনিস জেরক্স করার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। রাত পর্যন্ত কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে লালবাঁধের ড্যামের জল থেকে উদ্ধার হল তার মৃতদেহ। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে। গতকাল ওই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা ভালো হয়নি বলে শোনা গিয়েছে। সেজন্য কি কঠিন সিদ্ধান্ত নিল সে? নাকি ঘটনার পিছনে অন্য কোনও রহস্য আছে? বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
জানা গিয়েছে, ওই পরিবারের বাড়ি শহরের হাউসিং সংলগ্ন কলোনির এলাকায়। গতকাল বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ সে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। নিজের মোবাইল ফোনটিও বাড়িতে রেখে যায় সে। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও ছেলে না ফেরায় বাড়ির লোকজনদের দুশ্চিন্তা বাড়ে। আশপাশের এলাকায় খোঁজ শুরু হয়। রাত নটা পর্যন্ত তাঁকে না পেয়ে থানায় বিষয়টি জানানো হয়। বিষ্ণুপুর থানার পুলিশও খোঁজ শুরু করে।
এর মধ্যেই খবর আসে লালবাঁধ ড্যামের পাড়ে একটি সাইকেল জামাপ্যান্ট ও জুতো পড়ে রয়েছে। পরিবারের লোকজন এসে জানায় সেসব জিনিস তাঁদের বাড়ির ছেলেরই। এরপর লালবাঁধের আশপাশের এলাকাতেও খোঁজ চলে। বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ বিষ্ণুপুরের সিভিল ডিফেন্স কর্মীদের ফোন করে খবর দেয়। সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা পৌঁছে লালবাঁধের জলে নামেন। লাইট জ্বালিয়ে জলের উপরেও তল্লাশি চলে। বেশ কিছু সময় পরে জল থেকে উদ্ধার হয় ওই ছাত্রের মৃতদেহ। বিষ্ণুপুর হসপাতালে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
বন্ধুদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রের গতকাল পরীক্ষা ভালো হয়নি। সেজন্য পরীক্ষা শেষে মনমরাও ছিল। পড়াশোনায় অত্যন্ত মেধাবী ছিল সে। পরীক্ষা খারাপ হওয়াতেই নিজেকে শেষ করার কঠিন সিদ্ধান্ত নিল সে? নাকি ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে? সব বিষয় খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই ঘটনায় পরিবারে কান্নার রোল উঠেছে। প্রতিবেশীদের মধ্যেও শোকের ছায়া।