ট্রলি কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পরই জানা গিয়েছিল যে ক্যাব চালকের বুদ্ধিমত্তার জেরেই নাকি ধরা পড়ে অভিযুক্তরা। ঠিক কী ঘটেছিল তা নিজেই জানালেন ক্যাব চালক রাহুল। তিনি এদিন জানান, কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে অন্ধকার দেখে গাড়ি দাঁড় করাতে বলতেই খটকা লাগে তাঁর। আহিরীটোলা কাণ্ড নিয়ে শোরগোলের মাঝে যুবকদের আচরণে চালকের মনে একাধিক প্রশ্ন জাগায়। এরপরই রাহুল জানতে চান কেন গাড়ি দাঁড় করানো হবে। তাতেই বাঁধে বচসা। এক পর্যায়ে গাড়ির ডিকিতে রাখা ট্রলিতে কী রয়েছে সেই প্রশ্ন তোলেন ওই ক্যাব চালক। তাতেই খানিকটা অস্বস্তিতে পড়েন ধৃত ২ যুবক করণ ও কৃষ্ণপাল। এতে রাহুলের সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়। চেপে ধরতেই নাকি ধৃতরা বলে, “কিছু টাকা দিচ্ছি, আপনি চলে যান।”
সঙ্গে সঙ্গে হাত দেখিয়ে রাস্তায় টহলরত পুলিশদের ডাকেন রাহুল। ততক্ষণে বিপদ বুঝে উধাও হয়ে যায় এক যুবক। এদিকে ট্রলি খুলতেই মেলে যুবকের দেহ। তার হাত-মুখ বাধা ছিল সেলোটেপ দিয়ে। এরপরই প্রথমে করণ ও পরে কৃষ্ণপালকে গ্রেপ্তার করা হয়। যদি পুলিশি জেরার মুখে ব্যাগটি তার নয় বলে দাবি করে করণ। গোটা ঘটনায় রাহুলের ভূমিকার প্রশংসা করেছে পুলিশ। তদন্তের স্বার্থে তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বুধবারই আদালতে তোলা হয়েছে ধৃতদের।