সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিধানসভায় শুভেন্দু অধিকারীকে একহাত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দলবদল নিয়ে নিশানা করে বললেন, “উনি তো তিনবার দল বদলেছেন। তৃণমূল ঘেঁটে বিজেপিতে গিয়েছে। আবার অন্য দলে যাওয়ার রিকোয়েস্ট এল বলে।” যদিও সবশেষে বুঝিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তিনি। বললেন, “এসব লোককে ইগনোর করাই ভালো।” পালটা দিলেন শুভেন্দুও।
শুভেন্দু অধিকারীর ‘চ্যাংদোলা’ মন্তব্যকে কেন্দ্র করে উত্তাল বিধানসভা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাষণ দেওয়ার সময় প্রবল স্লোগান তোলেন বিজেপি বিধায়করা। ছিঁড়তে শুরু করেন কাগজ। সব মিলিয়ে উত্তাল পরিস্থিতি তৈরি হয়। এসবের মাঝেই শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “ধর্ম উনি বোঝেন না। উনি তো তিনবার দল পালটেছেন। একটা সময়ে কংগ্রেস করত। তৃণমূলকে ঘেঁটে বিজেপিতে গিয়েছিল। আবার অন্য দলে যাওয়ার রিকোয়েস্ট এল বলে।” মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা। এমনিতেই তাপসী মণ্ডলের দলবদল শুভেন্দুকে যে খানিকটা চাপে ফেলেছে তা বলাই বাহুল্য। সেই সুযোগকে লাগাতে ময়দানে নেমেছেন দিলীপ ঘোষ। তার মাঝেই মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে শুরু চর্চা। তবে মমতাকে পালটা মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করলেন শুভেন্দুও।
এদিন ফের শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রাম আন্দোলনের কথা মনে করিয়ে দিলেন। হুঙ্কার ছেড়ে বলেন, “নন্দীগ্রাম আন্দোলনের জেরেই উনি মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন।” শুভেন্দুর দাবি, এই উথ্থানের নেপথ্যে বড়সড় ভূমিকা রয়েছে অধিকারী পরিবারের। এখানেই শেষ নয়, এদিন ফের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রীকে ভবানীপুর আসন থেকে হারানোর চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন শুভেন্দু। ইগনোর প্রসঙ্গে বললেন, ইগনোর করাই ভালো। কিন্তু করতে পারছেন কোথায়!