মেট্রোয় বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে ট্রেন অপারেটর নিয়োগের ভাবনা, দাবি রিপোর্টে
হিন্দুস্তান টাইমস | ১২ মার্চ ২০২৫
মেট্রোর তরফে সম্প্রতি ট্রেন অপারেটর নিয়োগ করার বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছিল। দাবি করা হচ্ছে, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় পুরো রুটে পরিষেবা প্রদান করার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত সংখ্যক চালকের অভাব রয়েছে। এই আবহে বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে পাঁচ বছরের মেয়াদে ট্রেন অপারেটর নিয়োগ করার কথা ভেবেছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো রুটে চলা ট্রেনগুলি রেডিয়ো-সঙ্কেত নির্ভর। এই আবহে মেট্রো কর্তৃপক্ষের দাবি, ট্রেন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় চালকের ভূমিকা ততটা থাকবে না। এর জন্যে ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসেই চালক বিহীন মেট্রো চালানোর ট্রায়াল রান হয়েছিল সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদা রুটে। এই আবহে নয়া প্রযুক্তির ফলে চালকের ভূমিকা হবে শুধু তদারকি করা।
তা সত্ত্বেও ইস্ট-ওয়েস্ট রুটে হাওড়া ময়দান থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত বর্ধিত সংখ্যার ট্রেন চালানোর জন্য অন্তত ৫০ থেকে ৬০ জন চালক লাগতে পারে বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। আর এখন ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোতে আছে ৩৫ জন চালক। এই আবহে বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে পাওয়া চুক্তিভিত্তিক ট্রেন অপারেটরদের দিয়ে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো চালানোর কথা ভাবা হচ্ছে। এবং দক্ষ মেট্রো চালকদের নর্থ-সাউথ লাইনে বদলি করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদা রুটে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ট্রেন চালানোর জন্য ছাড়পত্র দিয়েছে রেলওয়ে সেফটি কমিশনার। উল্লেখ্য, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো লাইনে কন্ট্রোল রুম থেকেই মেট্রো চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এই আবহে এই রুটে চালক ছাড়াই মেট্রো ছুটতে পারে।
কলকাতা মেট্রোর অন্যান্য রুটেও কমিউনিকেশন বেসড ট্রেন কন্ট্রোল সিগন্যালিং ব্যবস্থা চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছিল গতবছরের রিপোর্টে। জোকা থেকে এসপ্লানেড এবং কবি সুভাষ থেকে বিমানবন্দর মেট্রো করিডোরে এই ব্যবস্থা চালু করতে মোট ৮০০ কোটি টাকা খরচ হতে পারে। এদিকে নর্থ-সাউথ করিডোরেও এই সিবিটিসি ব্যবস্থা ইনস্টল করা হতে পারে বলে জানানো হয়েছিল। তার জন্য নাকি বরাদ্দ হয়েছিল মোট ৫০০ কোটি টাকা। আন্তর্জাতিক একটি সংস্থাকে এই সিগন্যাল বসানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়। জানা যাচ্ছে, আগামী ৫ বছরের মধ্যে কলকাতা মেট্রোর সম্পূর্ণ নেটওয়ার্কে সিবিটিসি সিগন্যালিং ব্যবস্থা চালু করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। এর ফলে ট্রেনের সংখ্যাও বাড়ানো সম্ভব হতে পারে। চালকবিহীন মেট্রো পরিষেবা চালুর ফলে একটি রুটে মেট্রো চালাতে বেশ কয়েক মিনিট বাঁচানো সম্ভব হবে বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ।