১৬৩ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার, কলকাতা হাইকোর্টে মহিলা বিচারপতির সংখ্যা বেড়ে ৮ জন
হিন্দুস্তান টাইমস | ১২ মার্চ ২০২৫
মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে তিনজন অতিরিক্ত বিচারপতি শপথ গ্রহণ করেছেন। এই অবস্থায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির সংখ্যা বেড়ে হল ৪৬ জন। নয়া বিচারপতিদের মধ্যে একজন মহিলা বিচারপতিও রয়েছেন। এই অবস্থায় হাইকোর্টে মহিলা বিচারপতির সংখ্যাও বাড়ল। এরফলে দীর্ঘ ১৬৩ বছরের ইতিহাসে কলকাতা হাইকোর্ট একসঙ্গে ৮ জন মহিলা বিচারপতি পেল। বর্তমানে মহিলা বিচারপতির সংখ্যার নিরিখে কলকাতা হাইকোর্ট রয়েছে পঞ্চম স্থানে।
সূত্রের খবর, দেশের হাইকোর্টগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মহিলা বিচারপতি রয়েছেন মাদ্রাজ হাইকোর্ট এবং পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে। সেখানে ১৩ জন করে মহিলা বিচারপতি রয়েছেন। বোম্বে হাইকোর্টে ১১ জন মহিলা বিচারপতি রয়েছেন। আবার এমন অনেক হাইকোর্ট রয়েছে যেখানে একজনও মহিলা বিচারপতি নেই। ত্রিপুরা এবং উত্তরাখণ্ডের মতো হাইকোর্টে বর্তমানে কোনও মহিলা বিচারপতি নেই।
মঙ্গলবার বিচারপতি রীতোব্রত কুমার মিত্র এবং বিচারপতি ওম নারায়ণ রাই এবং বিচারপতি স্মিতা দাস দে কলকাতা হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। উল্লেখ্য, বর্তমানে কলকাতা হাইকোর্টে আরও যাঁরা মহিলা বিচারপতি রয়েছেন তাঁরা হলেন - বিচারপতি অমৃতা সিনহা, বিচারপতি শম্পা সরকার, বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ, বিচারপতি অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিচারপতি চৈতালী চট্টোপাধ্যায় এবং বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়।বিচারপতি স্মিতা দাস দে যোগ দেওয়ায় মহিলা বিচারপতির সংখ্যা ৮ জনে পৌঁছল।প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টে ৭২ জন বিচারপতি থাকার কথা। তবে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে পদোন্নতির পর বর্তমানে ৪৬ জন বিচারপতি রয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টে।
বিচারপতি মঞ্জুলা বোস এবং বিচারপতি পদ্মা খাস্তগীর ১৯৭৭ সালে কলকাতা হাইকোর্টের প্রথম মহিলা বিচারপতি হয়েছিলেন। এদিন শপথ নেওয়ার সময় বিচারপতি স্মিতা দাস দে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা উল্লেখ করে জানান, তিনি চেয়েছিলেন আরও বেশি সংখ্যক মহিলা এই পেশায় যোগ দিক। নয়া বিচারপতি জানান, তিনি ডাক্তার পরিবারের একজন সদস্য থেকে এই পেশায় এসেছেন। নিজের কঠিন লড়াইয়ের কথা তুলে ধরেন তিনি। প্রায়ই তিনি পদত্যাগের কথা ভাবতেন। কিন্তু, তাঁর মা সব সময় তাঁর পাশে থেকেছেন। আইনজীবীদের মতে, এরফলে ভারসাম্য বজায় থাকবে। একজন মহিলা বিচারপতি মহিলাদের ব্যক্তিগত সমস্যাগুলি আরও ভালো করে বুঝতে পারবেন। নিম্ন আদালত এবং উচ্চ আদালতে মহিলা বিচারপতি ও বিচারকদের সংখ্যা বৃদ্ধি অন্যান্য মহিলাদের আরও প্রেরণা যোগাবে।