মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ১০ জানুয়ারি মামনি রুইদাস নামে এক প্রসূতির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হয় গোটা রাজ্য। ‘মাতৃমা’ বিভাগে সিজ়ারের পরই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের পাঁচ প্রসূতি। এর মধ্যে তিন প্রসূতির (মিনারা বিবি, নাসরিন খাতুন ও মাম্পি সিং) অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদেরকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করানো হয়েছিল। তিন জনকেই ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রাখতে হয়। গত ২৮ জানুয়ারি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন মিনারা বিবি। বুধবার এসএসকেএম থেকে ছাড়া পেলেন মাম্পি সিং। এখনও চিকিৎসাধীন নাসরিন খাতুন।
রিঙ্গার্স ল্যাকটেট স্যালাইনে কোনও ত্রুটি ছিল নাকি ভুল অস্ত্রোপচার, সেই বিতর্ক অব্যাহত। তবে তিন জনেরই কিডনি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় প্রথমদিন থেকে ডায়ালিসিস করা হয়। গত ২৮ জানুয়ারি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন কেশপুরের মিনারা বিবি। তবে, তাঁর সদ্যোজাতের মূত্রনালীতে জন্মগত একটি সমস্যা (পেটেন্ট ইউরেকাস) থাকায় মেদিনীপুর মেডিক্যালের শিশু বিভাগের তরফে অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, ঠিক দু’মাসের মাথায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন বছর ২৫-এর মাম্পি। বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ এসএসকেএম হাসপাতালের তরফে মাম্পিকে ছুটি দেওয়া হয়। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক সৌম্যশঙ্কর ষড়ঙ্গী বলেন, ‘আমরা অ্যাম্বুল্যান্স পাঠিয়েছি। মাম্পি সন্ধ্যা নাগাদ সাতপাটির (দক্ষিণশোল গ্রামের) বাড়িতে পৌঁছে যাবেন বলে আশা করছি।’
মামনি রুইদাস বা মিনারা বিবি-র সন্তানদের মতোই মাম্পির সদ্যোজাত কন্যাও মাঝেমধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। মাম্পির স্বামী কার্তিক সিং বলেন, ‘পেটের সমস্যা হয়েছিল। শালবনির হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিলাম। দু’দিন আগেই বাড়ি নিয়ে এলাম।’ তাঁদেরর তিন বছরের শিশুও দু’মাস মাতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত! পরিবারের সকলেই এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন মাম্পির জন্য। তবে এখনও সুস্থ হননি কেশপুরের বাসিন্দা নাসরিন খাতুন। এসএসকেএমে তাঁর লড়াই চলছে।