• ভাঙন রুখতে নদীর বাঁধে ইটের ম্যাট্রেস সেচ দপ্তরের
    এই সময় | ১২ মার্চ ২০২৫
  • রাকিব ইকবাল ■ উলুবেড়িয়া

    হুগলি নদীর ভাঙন‌ ঠেকাতে বিশেষ আকৃতির বাঁশের খাঁচা ফেলে, পলিবন্দি করে অনেকটাই সাফল্যের মুখ দেখেছে সেচ দপ্তর। এ বার ভাঙন ধরা সেই বাঁধে ইটের ম্যাট্রেস পাতছে এই দপ্তর।‌ জোরকদমে শুরু হয়েছে ইটের চাদর বিছানোর কাজ। উলুবেড়িয়ার জগদীশপুরে নদীর ভাঙন ঠেকাতে এমন উদ্যোগনিয়েছে সেচ দপ্তর।

    হাওড়া গ্রামীণের হুগলি নদীর পশ্চিম পাড়ে দু'টি এলাকা ভয়াবহ ভাঙন–প্রবণ বলে চিহ্নিত। একটি উলুবেড়িয়া পুরসভার জগদীশপুর বাঁশতলা, অন্যটি শ্যামপুরের বেলাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব বাসুদেবপুর। দু'টি এলাকা মিলিয়ে কম করে পাঁচশো মিটার নদীবাঁধ এখন গিলেছে হুগলি নদী। বছর তিনেক আগে শুরু হ্ওয়া এই ভাঙন রোধে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে সেচ দপ্তর।

    কিছুতেই রোখা সম্ভব হচ্ছিল না দু'টি এলাকার ভাঙন। একধিক পদক্ষেপ করেও জলে যাচ্ছিল সব চেষ্টা, অর্থ আর সময়। বিপদ কড়া নাড়ছিল দোরগোড়ায়। রাতের ঘুম উড়েছিল বাসিন্দাদের। এর পরেই নদীর ভাঙন ঠেকাতে প্রকৃতির মতো করেই ভাবতে শুরু করে সেচ দপ্তর। নদীর ভাঙন–ধরা বাঁধে জোয়ার-ভাটাকে কাজে লাগিয়ে এক বিশেষ আকৃতির খাঁচার মাধ্যমে পলি জমিয়ে রাখার কাজ করা হয়।‌

    এক বছরের বেশি সময় ধরে জগদীশপুরে হুগলি নদীর পাড়ে জমতে থাকে পলি মাটি। সেই কাজে অনেকটা সাফল্য পাওয়ার পরে জগদীশপুরে ভাঙা বাঁধে ইটের ম্যাট্রেস পাততে শুরু করেছে তারা। সেচ দপ্তরের এক ইঞ্জিনিয়ার বলেন, জগদীশপুরে নদীর ভাঙন রোধে পলি অ্যারেস্টের কাজের সঙ্গে সঙ্গে ইটের ম্যাট্রেস বিছানোর কাজ করা হচ্ছে। এর ফলে জোয়ারের সময়ে বা জাহাজ যাতায়াতের ফলে ওই ভাঙা অংশে নদীর ক্ষয় অনেকটাই রোধ হবে।

  • Link to this news (এই সময়)