‘বন্ধু’-কে খুনের করার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। বুধবার বহরমপুর শহরের গোরাবাজার রেজাউল করিম সরণীর একটি বহুতল আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় তাহেল শেখ (২৪) নামে এক যুবকের দেহ। তাঁর বাড়ি বহরমপুর শহর লাগোয়া চালতিয়া। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাহেলকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আসে তাঁর ‘বন্ধু’ মহম্মদ সুরাজ শেখ ওরফে মৃণাল। লালগোলা থানার নলডহরি গ্রামের বাসিন্দা মৃণালই তাহেলকে খুন করেছে বলে অভিযোগ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বহরমপুর থানার পুলিশ।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, রেজাউল করিম সরণীর ওই আবাসনে একটি ফ্ল্যাট আছে মৃণালের। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাহেলকে ডেকে নিয়ে ওই ফ্ল্যাটেই গিয়েছিলেন মৃণাল। বুধবার সকালে ওই ফ্ল্যাট থেকেই সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাহেলকে। তাঁকে উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের লোকজন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
তাহেলের এক বন্ধু সোনু শেখ জানিয়েছেন, বুধবার সকালে তাঁর বাড়িতে এসে মৃণাল তাঁকে জানিয়েছিলেন যে, মঙ্গলবার রাতে ওই ফ্ল্যাটে তাহেলের সঙ্গে ছিলেন তিনি। সোনু বলেন, ‘আমার বাড়িতে এসে মৃণাল জানায়, সকালে ঘুম থেকে উঠে সে দেখে তাহেল অজ্ঞান হয়ে পড়ে রয়েছে। তাঁর বাড়িতে খবর দেওয়ার জন্য আমাকে বলেই চলে যায় সে।’ কেন তাহেলের বাড়িতে না গিয়ে মৃণাল সোনুর কাছে এসেছিলেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
সোনুর কাছে খবর পাওয়ার পরে ওই ফ্ল্যাটে যান তাহেলের মা ময়না বিবি-সহ চারজন আত্মীয়। তাঁরা গিয়ে দেখেন খালি গায়ে ঘরের মেঝেতে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে আছে তাহেল।
ময়না বিবি বলেন, ‘মৃণালের বাড়ি লালগোলায় হলেও সে বহরমপুরে এসে দিনের পর দিন পড়ে থাকত। সে কি করে আমরা তার কিছুই জানি না। তবে আমার ছেলের সঙ্গে তাঁর খুব বন্ধুত্ব ছিল।’
তাহেলের আত্মীয়দের দাবি, তাহেলের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাওয়া না গেলেও তাঁর গলা থেকে মুখের অংশ কালো হয়ে গিয়েছে।
ঘটনার পর থেকেই মৃণালের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। বহরমপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, তাহেলের বাবা খুদু শেখ মৃণালের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। মৃণালের খোঁজ চলছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।