নব্যেন্দু হাজরা: দাদা একটা সিলিন্ডার দিন না। কোথাও পাচ্ছি না। সবাই বলছে শেষ। বুধবার বিকেলে বড়বাজারের রঙের মার্কেটে হন্যে হয়ে খুঁজেও সিলিন্ডার খুঁজে পাচ্ছিলেন না লেকটাউনের প্রিয়াঙ্কা, বনহুগলির ঋতমরা। কিন্তু অনেকেই তো কিনে নিয়ে গিয়েছে এলাকায়। হতাশ অবশ্য হননি। প্রায় ঘণ্টাদেড়েক ভিড়ে ঠেলে খোঁজাখুঁজির পর সিলিন্ডার নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
গলির পর গলি। রং, আবির, পিচকারি থরে থরে সাজানো। উপচে পড়া ভিড়। তবে সবার মুখে সিলিন্ডারের নাম। এ সিলিন্ডার গ্যাসের নয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, দোলের বাজারে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের মতো দেখতে এই সিলিন্ডারগুলোরই এবার সবথেকে চাহিদা। গ্যাসের বদলে আবিরে ঠাসা। মুখ খুলে স্প্রে করলেই ছড়িয়ে পড়বে হু হু করে। দু’কেজি, চার কেজি ছ’কেজির সিলিন্ডার রয়েছে। ৭০০-১৪০০ টাকা দাম।
আবিরের গুণমানের উপর দামের হেরফের। ভিনরাজ্য থেকে আনা হয়েছে। এছাড়াও খোঁজ নিয়ে জানা গেল, এবার বাজার মাতাচ্ছে সাপের বিন বাঁশির মতো দেখতে পিচকারি, পুষ্পা টু, কুম্ভমেলার পিচকারি। পাইকারি বাজারে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা দাম। হচ্ছে দেদার বিক্রি।
এছাড়া ওয়ান শাটার, মাউজার, এ কে ৪৭ তো আছেই। সেগুলোর বিক্রিও খারাপ নয়। ভালো চাহিদা বেলুনেরও। বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, এবার সবথেকে চাহিদা পুষ্পা-টু এবং কুম্ভমেলা লেখা পিচকারি। সবই প্রায় শেষের দিকে। এই বড়বাজার থেকেই পাইকারি রেটে রং, আবির, পিচকারি কিনে নিয়ে খুচরো বাজারে বিক্রি করেন। ফলে এখানে দাম কিছুটা কমই। খুচরো বাজারে গিয়ে তা দ্বিগুণ হচ্ছে। তবে সিলিন্ডারটা এবার নতুন। যা সুপার ডুপার হিট। একটু বিত্তবান মানুষরাই অবশ্য কিনছেন। বিভিন্ন দোলের অনুষ্ঠান উপলক্ষে এর ব্যবহার।