ওই ঘটনায় সমস্ত সঠিক স্বাক্ষ্য প্রমাণ দিয়ে পুলিশকে তদন্তে সাহায্য করায় হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ওই ৫ যুবককে সম্মানিত করা হয়। পাঁচলা থানার পানিয়াড়ায় জেলা পুলিশের সদর দপ্তরে এই অনুষ্ঠানে ৫ যুবককে সম্মানিত করেন হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশ সুপার সুবিমল পাল। ওই যুবকরা জানিয়েছেন, এই ভাবে তাঁরা যে সম্মানিত হবে তা আশা করেননি। এ দিন তাঁরা যে সম্মান পেলেন তা আগামীদিনে ভালো কাজ করতে উৎসাহিত করবে তাঁদের।গত মাসেই এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে খুন করে মাটিতে পুঁতে দিয়েছিলেন। পাঁচলা থানা এলাকায় ওই ঘটনা দেখে ফেলেন পাঁচ জন।তাঁরাই ধরে ফেলেন ওই ব্যক্তিকে। পুলিশকে সব কিছু জানিয়ে তদন্তে সাহায্যও করেছিলেন তাঁরা। হাওড়া গ্রামীণ জেলার পুলিশের তরফ থেকে সম্মানিত করা হয়েছে ওই পাঁচজনকে। পুলিশের আশা, এই ভাবে আগামীদিনে অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং অপরাধীদের ধরতে সাহায্য করার কাজে এগিয়ে আসবেন যুবকরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে আট বছর আগে নার্গিসের সঙ্গে বাগনানের রবিভাগ এলাকায় এক যুবকের বিয়ে হয়। তাদের একটি সন্তান আছে। ওই যুবকের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছদের পরে নার্গিসের সঙ্গে খাজুরনান গ্রামের আজাদ খানের প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। মাস পাঁচেক আগে দুজনে রেজিস্টি করে বিয়ে করেন। এদিকে নার্গিসকে বিয়ে করলেও আজাদের পরিবার এই সর্ম্পক মেনে নিতে চায়নি। তাই আজাদ নার্গিসকে ডিভোর্সের জন্য চাপ দিতে থাকেন। যে দিন তাঁকে হত্যা করা হয় সেই দিন নার্গিস তাঁর মামার বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন । আজাদ নার্গিসকে দেখা করার জন্য ফোন করে ডাকেন। তাঁকে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরিয়ে রাতে রামচন্দ্রপুরে মিত্তির পুকুর পাড়ে নিয়ে গিয়ে নার্গিসকে মারধর করে শ্বাসরোধ করে খুন করে মাটিতে দেহ মাটিতে পুঁতে দেন আজাদ।
যখন সেখানে নার্গিসকে মারধর করা হচ্ছিল তখন ওই এলাকা দিয়ে ফিরছিলেন বরুণ ঘড়া নামের এক ফুল ব্যবসায়ী। রাতের অন্ধকারে আওয়াজ পেয়ে ওই পুকুর পাড়ে দাঁড়িয়ে পড়েন তিনি। বিপদের আশঙ্কা করে স্থানীয় রামচন্দ্রপুর ক্লবে গিয়ে দীপক বেরা, প্রসেনজিৎ জানা, প্রলয় রায় এবং চন্দন গায়েনকে গোটা বিষয়টি জানিয়েছিলেন তিনি। তার পরেই তাঁরা ছুটে গিয়েছিলেন রামচন্দ্রপুর মিত্তির পুকুর পাড় এলাকায়। ততক্ষণে নার্গিসকে খুন করে দেহ মাটিতে পুঁতে পালানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন আজাদ। তখন আজাদকে ধরে ফেলেন তাঁরা। পুলিশ পরে আজাদকে গ্রেপ্তার করে।
ওই ঘটনায় সমস্ত সঠিক স্বাক্ষ্য প্রমাণ দিয়ে পুলিশকে তদন্তে সাহায্য করায় হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ওই ৫ যুবককে সম্মানিত করা হয়। পাঁচলা থানার পানিয়াড়ায় জেলা পুলিশের সদর দপ্তরে এই অনুষ্ঠানে ৫ যুবককে সম্মানিত করেন হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশ সুপার সুবিমল পাল। ওই যুবকরা জানিয়েছেন, এই ভাবে তাঁরা যে সম্মানিত হবে তা আশা করেননি। এ দিন তাঁরা যে সম্মান পেলেন তা আগামীদিনে ভালো কাজ করতে উৎসাহিত করবে তাঁদের।