• ক্ষমা করে দেন প্লিজ, ওবিসি শংসাপত্র মামলায় আদালতের ধমক খেয়ে বললন মুখ্যসচিব
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৩ মার্চ ২০২৫
  • আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্বেও ওবিসি শংসাপত্রের ভিত্তিতে সরকারি চাকরিতে নিয়োগপ্রক্রিয়া চালানোয় আদালতের চরম ভর্ৎসনার মুখে পড়লেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। বুধবার আদালতে ভার্চুয়ালি হাজিরা দিয়ে ভুল স্বীকার করেন তিনি। সঙ্গে জানান ভবিষ্যতে আর এই ভুল হবে না।


    পড়তে থাকুন - শুভেন্দু কি এবার ভবানীপুরে দাঁড়াবেন? কী বলছেন সুকান্ত! 'মমতাকে হারাব'

    ২০১০ সালের পর থেকে পশ্চিমবঙ্গে জারি করা ওবিসি সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে কাউকে নিয়োগ করা যাবে না বলে গত বছর নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু হাইরকোর্টের রায়ে কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি আদালত। তার পরও ওই ওবিসি সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে রাজ্য নিয়োগপ্রক্রিয়া চালানোর অভিযোগ ওঠে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। বিষয়টি আদালতের নজরে এলে মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেন বিচারপতি তপোব্রত চট্টোপাধ্যায় ও বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতে ভার্চুয়ালি হাজিরা দিতে নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে।

    বুধবার আদালতে ভার্চুয়ালি হাজিরা দিলে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন ২ বিচারপতি। বিচারপতি চক্রবর্তী জানতে চান, ‘আদালত স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিল সমস্ত নিয়োগপ্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে। তার পরও কী ভাবে নিয়োগপ্রক্রিয়া চালু হল? রাজ্য সরকারের কি নিয়োগপ্রক্রিয়ার ওপর কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই?’ জবাবে মুখ্যসচিব ‘ভুল’ স্বীকার করে ভবিষ্যতে এই ঘটনা ঘটবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন।


    আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্বেও রাজ্যে ২০১০ সালের পর জারি ওবিসি শংসাপত্রের ভিত্তিতে কোঅপারেটিভ সোসাইটির নিয়োগপ্রক্রিয়া চালানোর অভিযোগ ওঠে। গত বছর রাজ্যে ২০১০ সালের পরে জারি ওবিসি শংসাপত্রের ভিত্তিতে নিয়োগপ্রক্রিয়া চালানোর নিষেধাজ্ঞা জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ওই সমস্ত শংসাপত্র বাতিলের নির্দেশ দেয় আদালত। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে গেলেও কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি শীর্ষ আদালত।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)