মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লন্ডন সফরের অনুমতি দিল কেন্দ্র। টানা সাত দিনের ঠাসা কর্মসূচি নিয়ে আগামী ২২ মার্চ রওনা দেবেন তিনি। যাওয়ার পথে দুবাই হয়ে লন্ডনে পা রাখবেন মমতা। এক সপ্তাহের সফর শেষ করে ২৯ মার্চ কলকাতায় ফিরবেন। লন্ডনে তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভাষণ দেবেন বাংলার অগ্নিকন্যা। দর্শক আসনে উপস্থিত থাকবেন সেখানকার ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে গবেষক ও বিশিষ্টরা।
সূত্রের খবর, অক্সফোর্ডের এই বিশেষ ভাষণে মমতা পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি, ইতিহাস, পর্যটন থেকে শুরু করে রাজ্যের বিভিন্ন উন্নয়নমুখী প্রকল্পের কথা তুলে ধরতে পারেন। শুধু তাই নয়, মমতার এই সফরের মূল লক্ষ্য লন্ডনে গিয়ে শিল্প বৈঠক করা। শিল্পপতি ও বাণিজ্য প্রতিনিধিদের পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগে আগ্রহী করে তোলাই এই বৈঠকের অন্যতম উদ্দেশ্য। সেজন্য পশ্চিমবঙ্গে বিনোয়োগের অনুকূল পরিবেশ, শিল্প নিয়ে সরকারের নীতি ও সুযোগ সুবিধার কথা বৈঠকে তুলে ধরতে পারেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত দেশের কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এই ধরনের বিদেশ সফরের জন্য কেন্দ্র সরকারের অনুমতির প্রয়োজন হয়। বুধবার সেই ব্যাপারে অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যে সেই সবুজ সঙ্কেত নবান্নে এসে পৌঁছেছে।
উল্লেখ্য, চলতি ২০২৫ সাল ঘুরতে না ঘুরতেই ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে শিল্প বিনোয়োগে গুরুত্ব আরোপ করতে চাইছেন। গত ফেব্রুয়ারি মাসেই বাংলায় দুই দিন ব্যাপী বাণিজ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। সেই সম্মেলনে ভারত সহ বিভিন্ন দেশের শিল্পপতি ও বাণিজ্য প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেছিলেন। বেশিরভাগ শিল্প মহলের মতে, মমতার এই সম্মেলন যথেষ্ট সফল হয়েছিল। সুতরাং মুখ্যমন্ত্রী লন্ডন সফরে গিয়ে শিল্প বৈঠকে রাজ্যের বাণিজ্য সম্মেলনের খতিয়ান তুলে ধরবেন বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত।
তবে মুখ্যমন্ত্রীর লন্ডন সফরের উদ্দেশ্য শুধু বিনিয়োগ নয়, সেই সঙ্গে ব্রিটেনের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্কের মূল্যায়ন ও প্রসার ঘটানো। কারণ অতীতে কলকাতা ও লন্ডনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ বাণিজ্যিক এবং সাংস্কৃতিক সম্পর্ক ছিল। দুই দেশের মধ্যে সেই সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করা মমতার অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য।