দুপুরে ফাঁকা বাড়ির সুযোগ নিয়ে বয়স্ক দম্পতিকে লুটপাটের বহু ঘটনার সাক্ষী থেকে শহর থেকে শহরতলি। এ বার ফের ভরদুপুরে জিনিস বিক্রির অছিলায় বাড়িতে ঢুকে নাবালিকাকে হেনস্থার চেষ্টার অভিযোগ উঠল এক সোফা বিক্রেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরে।
দুপুর গড়িয়ে তখন বিকেল। বাড়িতে বড়রা কেউ নেই। বছর দশেকের মেয়েটি আপনমনেই ঘরে ছিল। অভিযোগ, এই সময়ে দরজা খোলা পেয়ে সোফা বিক্রির অছিলায় ভিতরে ঢুকে আসে এক ফেরিওয়ালা। বাড়িতে কেউ নেই বুঝতে পেরেই বছর দশেকের নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার চেষ্টা করে সে বলে অভিযোগ। কিন্তু, নাবালিকার চিৎকারে পড়শিরা ছুটে আসতেই পালিয়ে যায় ফেরিওয়ালা ও পিক-আপ ভ্যানের চালক।
বুধবার বিকেল তিনটে নাগাদ ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়ার পুরসভার ২নং ওয়ার্ডের একটি এলাকায়। এরপরই স্থানীয়রা খবর দেন নিকটবর্তী খড়ার পুলিশ ফাঁড়িতে। সেইসঙ্গে এলাকার যুবকরাও ওই ফেরিওয়ালা এবং পিকআপ ভ্যানের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেন।
শেষ পর্যন্ত স্থানীয়দের সহায়তায় খড়ার এলাকারই একটি প্রান্ত থেকে চালক সহ ওই পিকআপ ভ্যান এবং ফেরিওয়ালাকে পাকড়াও করেন ঘাটাল থানার অধীন খড়ার পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ কর্মীরা। গাড়ির চালক এবং ফেরিওয়ালাকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় ঘাটাল থানায়। এদিকে ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ওই এলাকায়।
নাবালিকার কাকু জানান, ‘ঘটনার সময় আমার দাদা-বৌদি হাটে গিয়েছিলেন। আমার ভাইজি বাড়ির ভেতরে পড়াশোনা করছিল। বাড়ির বাইরে পিকআপ ভ্যান দাঁড় করিয়ে এক ফেরিওয়ালা হঠাৎ ভিতরে ঢুকে পড়ে। প্রথমে জিজ্ঞেস করে তোমার বাবা আছে? এরপরই ফোন নম্বর চাওয়ার অছিলায় ভাইঝিকে চেপে ধরার চেষ্টা করে। ও চিৎকার করলে, পাড়ার লোকজন ছুটে আসে। সেই সময়ই গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায় ওই ফেরিওয়ালা! তবে, অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে পুলিশ ওই ফেরিওয়ালাকে আটক করেছে। চালক-সহ গাড়িটিকেও থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
ঘাটাল মহকুমা পুলিশের এক আধিকারিক এই সময় অনলাইন-কে জানান, ‘দু'জনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এখনও পরিবারের তরফে লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পাওয়ার পরই পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ সব মিলিয়ে দিনে দুপুরে বাড়িতে ঢুকে এ ভাবে নাবালিকার শ্লীলতাহানির প্রচেষ্টা ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।