মাঝ রাতে বুকে ব্যথা? হার্টের কোনও সমস্যা কী না বুঝতে দরকার ইসিজি। কিন্তু রাতে হাসপাতাল ছাড়া এমন ব্যবস্থা কোথায়? মেদিনীপুরের বাসিন্দাদের আর এ বার থেকে এই চিন্তা নেই। ফোন করলেই দুয়ারেই হাজির ইসিজি পরিষেবা।
গত ৩ মার্চ, সোমবার মেদিনীপুর শহরের শরৎপল্লি পুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বিনামূল্যে এক্স-রে পরিষেবা চালু করে নজির গড়ছিল পুরসভা। ঠিক এক সপ্তাহ পর বুধবার উদ্বোধন হল বিনামূল্যে ‘ইসিজি পরিষেবা’র । মেদিনীপুর পুরসভার অধীনে তিনটি পুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র- শরৎপল্লী, বল্লভপুর ও কুইকোটা এবং মেদিনীপুর পুরসভার নিজস্ব স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই পরিষেবা পাবেন মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দারা।
বুধবার বিকেলে সাংবাদিকদের এমনটাই জানিয়েছেন মেদিনীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান। তিনি এও জানিয়েছেন, ‘আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদেরকে যেমন একটি অত্যাধুনিক এক্স-রে মেশিন দিয়েছিলেন, ঠিক তেমনই চারটি অত্যাধুনিক ইসিজি মেশিনও উপহার দিয়েছেন।’
বুধবার থেকেই ৩টি পুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এবং পুরসভার নিজস্ব স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এই পরিষেবা চালু করা হয়েছে। রবিবার এবং ছুটির দিনগুলি বাদ দিয়ে সবসময়ই এই পরিষেবা পাওয়া যাবে।
পুরপ্রধান এও জানিয়েছেন, ‘শুধু পুরসভার স্বাস্থ্য কেন্দ্রেই নয়, রাত-বিরেতে বা জরুরী প্রয়োজনে বাড়িতে গিয়েও আমাদের পুরকর্মীরা এই পরিষেবা দিয়ে আসবেন। আমরা খুব তাড়াতাড়ি তিন-চারটি ফোন নম্বর দিয়ে দেব। শহরবাসীরা সেই নম্বরে ফোন করলে বাড়িতে গিয়ে এই পরিষেবা দেওয়া হবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।
তবে কি একে ‘দুয়ারে ইসিজি’ পরিষেবা বলা যেতে পারে? পুরপ্রধান অবশ্য বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর দুয়ারে সরকার প্রকল্পও সারা বিশ্বে প্রশংসিত। শহরবাসী ভালোবেসে একে দুয়ারে ইসিজি পরিষেবা বললে বলতেও পারেন! সবটাই তো তাঁর অনুপ্রেরণাতেই হচ্ছে।’ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক সৌম্যশঙ্কর ষড়ঙ্গী এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ‘হৃদ রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। মেদিনীপুর পুরসভার উদ্যোগ প্রশংসার দাবি রাখে। স্বাস্থ্য দপ্তরও এই বিষয়ে সহযোগিতার হাতে বাড়িয়ে দিয়েছে।’