• প্রায় ১০ বছর পর, সঙ্গীতের তালে তালে ফের নাচবে মোহরকুঞ্জের ফোয়ারা
    প্রতিদিন | ১৩ মার্চ ২০২৫
  • সন্দীপ চক্রবর্তী: প্রায় ১০ বছর পর ফের মোহরকুঞ্জে চালু হবে সঙ্গীতের তালে জলের ওঠানামার বিখ‌্যাত মিউজিক‌্যাল ফাউন্টেন। বস্তুত বৃহৎ ফাউন্টেনের মধ্যে এটিই দেশে অন‌্যতম অগ্রগণ‌্য। সেটা ২০০৫ সাল। দক্ষিণ শহরতলির বোড়াল থেকে রবীন্দ্র সদনের উলটোদিকে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের পাশে নতুন গড়ে ওঠা এক পার্কের জন‌্য আনা হল এক অত‌্যাধুনিক ফোয়ারা। এই রকম ফোয়ারা দেখা যায় সিঙ্গাপুরে-ব‌্যাংককে। 

    তখন কলকাতার মেয়র সুব্রত মুখোপাধ‌্যায়। সিটিজেন্স পার্কে বিরাট জায়গাজুড়ে বসানো হল সেই ফাউন্টেন। সঙ্গীতের তালে তালে আলোর ঝলকানিতে নেচে ওঠে সেই ফোয়ারা। দাম ছিল তৎকালীন প্রায় এক কোটি টাকা, আসলে ৯৯ লক্ষ টাকা। বস্তুত সিটজেন্স পার্ক বিখ‌্যাত হওয়ার অন‌্যতম বড় কারণ ছিল মিউজিক‌্যাল ফাউন্টেন। রীতিমতো ভিড় লেগে থাকত শুধুমাত্র ফাউন্টেনে সঙ্গীতের তালে জলের বিশাল ওঠানামা দেখতে। ২০০৫ সালের ৯ই মে চালু হয় পার্কটি। বিকাশ ভট্টাচার্য মহানাগরিক হওয়ার পর পরবর্তীতে উদ‌্যানের নাম দেওয়া হয়, মোহরকুঞ্জ। কোনও এক অজানা কারণে বেশ কয়েকমাস চলার পরই বন্ধ হয়ে যায় ফোয়ারা। পরে সারাই করা হলেও ফের বন্ধ হয়।

    আবার সেই বন্ধ হয়ে যাওয়া ফোয়ারা চালু করার পথে কলকাতা পুরসভা। শুধু মাত্র কিছু কারিগরি বিভ্রাটে বন্ধ হয়ে পড়ে ছিল ফাউন্টেনটি। আবারও বাজবে রবীন্দ্রসঙ্গীতের সুর। নৃত্যের তালে তালে কীভাবে ফোয়ারা ছুটবে, তার প্রস্তুতিও প্রায় সাড়া। ফোয়ারা প্রস্তুতকারক সংস্থার সঙ্গেই কথা চালাচ্ছে পুরসভার উদ‌্যান বিভাগের কর্তারা।

    প্রাথমিকভাবে ফোয়ারা সারাইয়ের ইঞ্জিনিয়াররা জানিয়েছেন, কিছু ‘নজেল’ বদল করতে হবে যেমন তেমনই নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণও জরুরি। কয়েক লক্ষ টাকা প্রাথমিকভাবে খরচ হতে পারে। তবু সেই টাকা খরচের পর এক অনন‌্য মিউজিক‌্যাল ফোয়ারা আবার শুরু করবে ‘নৃত‌্য-গীতের’ পথচলা। বস্তুত এই ফোয়ারার বর্তমান মূল‌্য দুই কোটি টাকারও বেশি হতে পারে বলে জানিয়েছেন ইঞ্জিনিয়াররা।
  • Link to this news (প্রতিদিন)