• তৃণমূলে যোগ দিতেই বড় দায়িত্বে তাপসী মণ্ডল
    এই সময় | ১৩ মার্চ ২০২৫
  • তৃণমূলে যোগ দিয়েই বড় দায়িত্ব পেলেন হলদিয়ার বিধায়ক তাপসী মণ্ডল। রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণ ও সমাজকল্যাণ দপ্তরের অধীন নারী উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারপার্সন করা হয়েছে তাঁকে। তাঁর সঙ্গে বোর্ডে রয়েছেন আরও ৬ জন আইএএস-ডব্লুবিসিএস আধিকারিক। বিরোধীদের বক্তব্য, দলবদলের উপহার দেওয়া হলো হলদিয়ার বিধায়ককে।

    সোমবারই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন হলদিয়ার দাপুটে নেত্রী তাপসী মণ্ডল। ১৯৯৭ সাল থেকে টানা চার বার সিপিএমের টিকিটে হলদিয়া পুরসভার কাউন্সিলার হন তাপসী। ২০১৬ সালে রাজ্যের বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রে যখন তৃণমূলের জয়জয়কার, সেই সময়ও সিপিএমের টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন তিনি।

    ২০২১ সালে বিজেপির টিকিটে বিধায়ক হন হলদিয়া থেকেই। ২০২৩ সালে বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতির দায়িত্ব পান তাপসী। তবে ২০২৪-এর পর থেকেই তাপসীর সঙ্গে দলের দূরত্ব বাড়ছিল বলে খবর। সম্প্রতি শ্রমিক সংগঠনকে সামনে রেখে তমলুকের বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর কোন্দল সামনে আসে।

    শোনা যাচ্ছিল, পদ্মে মন নেই তাপসীর। ফুল বদল করতে পারেন। কিন্তু সে ফুল যে এত তাড়াতাড়ি বদলে যাবে, তা অনেকেই আঁচ করতে পারেননি। ১০ মার্চ আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। এর পরই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে।

    বাম রাজনীতি করে আসা তাপসী শিল্পতালুক হলদিয়ার রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করেছেন। অনেকেই বলেন, শুভেন্দু তৃণমূলে থাকাকালীন যখন হলদিয়ার সংগঠন গুরুত্ব দিয়ে দেখতেন, সেই সময়ও তাপসী সিপিএমের টিকিটে ওই কেন্দ্রে জেতেন।

    তৃণমূলে যোগ দিয়ে তাপসী মণ্ডল বলেছিলেন, ‘প্রগতিশীল বাংলাকে রক্ষা করতে এবং বিশেষ করে হলদিয়ার উন্নয়ন, শিল্প পরিকাঠামো এবং বেকারদের কর্মসংস্থান, আর্থিক উন্নতি, সামাজিক উন্নয়নের জন্য কিছু কাজ যাতে করতে পারি, তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন যজ্ঞে যুক্ত হলাম।’ নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর তাপসী বলেন, ‘নেত্রী যে কাজ দেবেন, তা দায়িত্বের সঙ্গে পালন করব।’

  • Link to this news (এই সময়)