• অন্যের অ্যাকাউন্টে ঢুকছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা, ৪ বছর ধরে সমস্যায় মেদিনীপুরের গৃহবধূ
    এই সময় | ১৩ মার্চ ২০২৫
  • একই নামের গেরোয় ভোগান্তি!

    লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন করেছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা-১ ব্লকের বেড়াবেড়িয়া গ্রামের সাবানা খাতুন। কিন্তু তাঁর জন্য বরাদ্দ অনুদানের টাকা ঢুকছে ওই ব্লকেরই মানিককুণ্ডু গ্রামের বাসিন্দা অন্য এক সাবানা খাতুনের অ্যাকাউন্টে। চার বছর পরে বিষয়টি জানতে পেরেছেন আসল উপভোক্তা। রাজ্যের অন্যতম জনপ্রিয় প্রকল্পের অর্থ সাহায্য থেকে দীর্ঘদিন বঞ্চিত হলেন চন্দ্রকোনার গৃহবধূ। অভিযোগ জমা পড়লে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন মহকুমা শাসক।

    চন্দ্রকোনা-১ ব্লকের মনোহরপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেড়াবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা সাবানা। তাঁর অভিযোগ, ২০২১ সালে প্রথম ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে আবেদনপত্র জমা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু চার বছর পেরিয়ে গেলেও অনুদানের কোনও টাকা ঢোকেনি তাঁর অ্যাকাউন্টে। দুয়ারে সরকারের পরবর্তী শিবিরগুলিতেও দফায় দফায় প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করার জন্য আবেদন জমা করেন সাবিনা। তাতেও টাকা মেলেনি।

    বিডিও অফিসে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত এক কর্মীর কাছে সাবানা জানতে পারেন, ২০২১ সালেই তাঁর লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আবেদন মঞ্জুর হয়। কিন্তু, সেই অনুদানের টাকা প্রতি মাসে অন্য এক মহিলার অ্যাকাউন্টে ঢুকছে। ওই মহিলা চন্দ্রকোনা-১ ব্লকেরই মানিককুন্ডু গ্রাম পঞ্চায়েতের কাসন্ড গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর নামও সাবানা খাতুন। এর পর থেকে দফায় দফায় প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও বিষয়টির সমাধান হচ্ছে না বলে দাবি বেড়াবেড়িয়া গ্রামের সাবিনা ও তাঁর স্বামী আখতারের।

    জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পোর্টালে অনেক সময় নাম ‘মিস ম্যাচ’ হলে আবেদন বাতিল হয়ে যায়। আবার, নাম কিংবা তথ্যের মিল হলে অন্যের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকে যেতেও পারে। বিষয়টি অস্বাভাবিক নয়। এই বিষয়ে চন্দ্রকোনা-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শম্পা মণ্ডল বলেন, ‘আমি এখনও অভিযোগপত্র হাতে পাইনি। অভিযোগপত্র পেলেই ব্যবস্থা নেব।’ মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস বলেন, ‘আমার কাছে অভিযোগপত্র পেলেই খতিয়ে দেখব এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেব।’

  • Link to this news (এই সময়)