• স্বাস্থ্যসাথীতে নাম তুলেছেন ৮ কোটি ৭২ লক্ষ মানুষ, জানালেন চন্দ্রিমা
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ১৩ মার্চ ২০২৫
  • রাজ্যের মানুষ যাতে বিনা পয়সায় চিকিৎসা পেতে পারেন, সেই লক্ষ্যে ২০১৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর চালু হয়েছিল স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত এই প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত নাম নথিভুক্ত করেছেন রাজ্যের ৮ কোটি ৭২ লক্ষ ৫৭ হাজার ৬০৭ জন। বৃহস্পতিবার রাজ্য বিধানসভায় এই মন্তব্য করলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।

    চন্দ্রিমা বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এই প্রকল্পের জন্য ব্যয় হয়েছে ২৬৯৪ কোটি ৬৪ লক্ষ ৯ হাজার ৬৩১ টাকা। বর্তমানে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা মেলে ২৯১৪টি হাসপাতালে। কার্ডের উপর হেল্পলাইন নম্বর রয়েছে। যে কোনও অসুবিধায় সেই নম্বরে ফোন করলে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।

    বৃহস্পতিবার আমতার তৃণমূল বিধায়ক সুকান্ত পাল স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। তাঁর প্রশ্নের প্রেক্ষিতে চন্দ্রিমা বলেন, রাজ্য সরকার স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে বরাদ্দের পরিমাণ ক্রমেই বাড়াচ্ছে। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে ২২৬৩ কোটি ১ লক্ষ ৬১ হাজার ৯৩৯ টাকা ব্যয় করা হয়েছিল। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ওই পরিমাণ বেড়ে হয় ২৬৩০ কোটি ৫৬ লক্ষ ৮২ হাজার ৬৯৪ টাকা।

    সম্প্রতি বিশেষ স্বীকৃতি পেয়েছে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প। ক্যান্সার চিকিৎসা, সুনির্দিষ্টভাবে ব্রেস্ট ক্যান্সার রোগীদের কেমোথেরাপি সম্পূর্ণ করার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসাথীর সাফল্য ঠাঁই পেয়েছে আন্তর্জাতিক জার্নাল ‘দি ব্রেস্ট’-এ। ক্যান্সারের মতো মারণ ব্যাধির চিকিৎসায় মানুষের খরচ কমাতে এই প্রকল্পের সার্থকতাকে মান্যতা দিচ্ছে বিশ্বের অন্যতম সেরা চিকিৎসা সম্মেলন ‘সেন্ট গ্যালন ব্রেস্ট ক্যান্সার কনফারেন্স ২০২৫’।

    প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প মূলত একটি বিমা। এই কার্ডের মাধ্যমে একাধিক জটিল রোগের নিখরচায় চিকিৎসা করা যায়। যে সমস্ত পরিবারের এই কার্ড রয়েছে, পরিবার পিছু বার্ষিক ৫ লাখ টাকা করে স্বাস্থ্যবিমা পান। রাজ্যের সাধারণ মানুষ তো বটেই, পরিযায়ী কর্মীরাও এখন এই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পেতে পারেন। শুধুমাত্র সরকারি হাসপাতালে নয়, এই কার্ড থাকলে বিনামূল্যে চিকিৎসা পাওয়া যাবে বেসরকারি হাসপাতালেও।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)