‘চ্যাংদোলা’ মন্তব্যের পাল্টা সরব হয়ে জানিয়েছিলেন, তাঁর কাছে আগে জাত, তার পর দল। এ বার এই মন্তব্যের জেরে শো-কজ় করা হলো ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে। বিধানসভার পরিষদীয় দলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি তাঁকে শো-কজ় করছে। বৃহস্পতিবার সে কথা জানিয়েছেন বিধানসভায় পরিষদীয় মন্ত্রী তথা বিধানসভার তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির অন্যতম সদস্য শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। গত বছর নভেম্বর মাসেই একাধিক ‘বেফাঁস’ মন্তব্যের জন্য তাঁকে শো-কজ় করেছিল এই কমিটি। সূত্রের খবর, এর পরেও মন্তব্যে নিয়ন্ত্রণ না আনা নিয়ে এই বিধায়কের উপরে ক্ষুব্ধ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
গত মঙ্গলবার বিধানসভার বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন, ‘২০২৬-এ বিজেপি ক্ষমতায় এলে তৃণমূলের জয়ী মুসলিম বিধায়কদের চ্যাংদোলা করে বাইরে ছুড়ে ফেলা হবে।’ তাঁর এই মন্তব্যের পাল্টা বুধবার বিধানসভায় সরব হন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সর্বধর্ম সমন্বয়ের পাঠও দিয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু বৃহস্পতিবার শুভেন্দুর ‘চ্যাংদোলা’ মন্তব্যের পাল্টা আক্রমণ করেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তিনি বলেছিলেন, ‘একটা বিধায়ককে চ্যাংদোলা করে দেখাক। কত হিম্মত দেখব।’ এরপরেই তিনি বলেছিলেন, ‘আমার কাছে আগে আমার জাতি, তার পর দল। আমার জাতিকে আক্রমণ করলে আমি চুপ থাকব না।’ তাঁর এই মন্তব্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দিয়ে এসেছেন। সেই জায়গায় হুমায়ুনের মন্তব্যে অস্বস্তিতে শাসক দল। এর প্রেক্ষিতে এই শো-কজ় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
(তথ্য সহায়তা: সুগত বন্দ্যোপাধ্যায়)