শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরিতে রং খেলার উপর কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। শুধুমাত্র সবুজের যাতে কোনও ক্ষতি না হয় সে জন্য সতর্ক করা হয়েছে, বৃহস্পতিবার এই দাবি করেন রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। সম্প্রতি দোলের দিনে সোনাঝুরি হাটে রং খেলা ‘নিষিদ্ধ’, এই মর্মে বার্তা দেওয়া হয়েছিল বন দপ্তরের পক্ষ থেকে। সেখানে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের পক্ষ থেকে একটি ব্যানার টাঙিয়ে লেখা হয়েছিল ‘সংরক্ষিত বনাঞ্চল, এখানে রং খেলা, গাড়ি পার্কিং করা, ভিডিয়োগ্রাফি ও ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ।’ এ দিন বীরবাহা হাঁসদার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ‘এই সময়’ -কে বলেন, ‘বনদপ্তরের তরফে এমন কোনও নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে বলে আমার জানা নেই।’
কী বলেছেন বীরবাহা হাঁসদা?
তিনি বলেছেন, ‘আমরা চাই সবুজ সুরক্ষিত থাকুক। সেই জন্য আমাদের তরফে অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু রং খেলায় কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। যাঁর যেখানে রং খেলার ইচ্ছে খেলতে পারেন। আমরা প্রকৃতিকে বাঁচানোর অনুরোধ করেছি। বিজেপির কাছে রাজনীতি করার জন্য কোনও বিষয় নেই। সমস্ত বিষয়েই একটা ‘রং’ লাগানোর চেষ্টা ওরা করে।’ উল্লেখ্য, এই নির্দেশের তীব্র বিরোধিতা করেছিল বিজেপি।
সেক্ষেত্রে কি সোনাঝুরিতে রং খেলার আয়োজন করা হবে?
রাজ্যের বনমন্ত্রীর এই বার্তার পর প্রশ্ন উঠছে,এই বছর গত বছরগুলির মতো সোনাঝুরি হাটে রং খেলার আয়োজন করা হবে? অনুষ্ঠানের আয়োজক এবং সোনাঝুরি হাটের ব্যবসায়ী তন্ময় মিত্র অবশ্য বৃহস্পতিবার এই সময় অনলাইন-কে বলেন, ‘আগামী কাল দোল উৎসব। হাতে একদিনও সময় নেই। তাই এ বছর আর আয়োজনা করা সম্ভব নয়। কিছুটা সময় হাতে থাকলে তবুও চেষ্টা করা যেত। তবে পরের বছরে বন দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।’
অন্যদিকে, সোনাঝুরির দোল নিয়ে আলাদা করে কিছু না জানালেও এ দিন বোলপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রানা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘শান্তিনিকেতন-বোলপুরের যে কোনও জায়গায় মানুষ দোল খেলতে পারেন। বনের পশুপাখি, পরিবেশ সবকিছু বজায় রেখে মহিলাদের সম্মান বজায় রেখে, কোনও বেআইনি কাজ না করে, মানুষ সর্বক্ষণ দোল খেলতে পারবেন।’