‘খাবারে যা রং মেশান, এখুনি তা বার করুন’ দোকানদারকে হুঁশিয়ারি দেন খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের অফিসার। তার পরেও হোটেলের খাবারে রং মেশানোর কথা অস্বীকার করায় দোকানে থাকা ভেজাল এবং বাসি খাবার ফেলে দেওয়া হয়। ক্রেতাদের ‘অখাদ্য’ খাবার পরিবেশনের জন্য দোকানদারকে কান ধরে ওঠবোস করানোর অভিযোগ সরকারি অফিসারের বিরুদ্ধে। ঘটনা বীরভূম জেলার আহমেদপুরে।
দীর্ঘদিন ধরে খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের কাছে অভিযোগ জমা পড়ছিল, আহমদপুরের বিভিন্ন খাবারের হোটেলের খাবারে খারাপ রং ব্যবহার করা হচ্ছে। বেশ কয়েকটি মিষ্টির দোকান ও বিরিয়ানির দোকানে শুক্রবার হানা দেন খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা।
সরকারি আধিকারিকরা লক্ষ্য করেন, বেশ কিছু দোকানে কেমিক্যালযুক্ত খারাপ মানের রং ব্যবহার করা হচ্ছে। একটি বিরিয়ানির দোকানে সংরক্ষণ করে রাখা বাসি মাংস ফেলে দেন তাঁরা। পাশাপাশি একটি মিষ্টির দোকানের বাসি মিষ্টি, সিঙ্গাড়া ডাস্টবিনে ফেলে দেন তাঁরা। আহমেদপুরেরই একটি খাবার হোটেলের ব্যবসায়ীকে কান ধরে ওঠবোস করান এক আধিকারিক।
ব্যবসায়ীরা জানান, খাবারে কেমিক্যালযুক্ত রং ব্যবহার করে আমরা ভুল করেছিলাম। তাই তাঁদের কান ধরে ওঠবোস করানো হয়েছে। জেলা খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক প্রসেনজিৎ বটব্যাল বলেন, ‘উপযুক্ত লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করে, খাদ্য সুরক্ষা লাটে তুলে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। যথেচ্ছভাবে খাবার জন্য অনুপযোগী কেমিক্যালযুক্ত রঙের ব্যবহার করা হচ্ছে। গুলো করতে বারণ করার পরেও যখন দু’জন খাদ্য ব্যবসায়ী বেঁকে বসেন। তাঁরা জানান, খাবারে এই রঙের ব্যবহার করতেই হবে, গ্রাহককে তাঁরা ফেরাতে পারবেন না। তখন ঘটনাস্থলেই তাঁদের শাস্তি দেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না।’