• বন্ধ কারখান, ডুয়ার্সে ভেষজ রং এখন ফ্যাকাসে
    এই সময় | ১৩ মার্চ ২০২৫
  • এই সময়, মালবাজার: এক সময়ে বন দপ্তর ভেষজ রং থেকে আবির তৈরি করে দোলের সময়ে সাড়া ফেলে দিয়েছিল। উত্তরের ব্যাংডুবির কাছে দপ্তরের নিজস্ব কারখানায় তৈরি হতো সেই ভেষজ আবির। তবে এ বার দপ্তর সেই আবির তৈরিতে ঝাঁপ ফেলেছে। নন টিম্বার প্লান্টেশন ডিভিশন রাজ্য বন দপ্তরের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ, যা বর্তমানে অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। সেই সঙ্গে হারিয়ে যেতে বসেছে উত্তরের সর্পগন্ধা, বাসক, নিম ও সিট্রোনেলা।

    এখন বিভিন্ন এলাকায় ভেষজ গাছের চাষ করে তা থেকে নানা ধরনের আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরি করে তা ‘বনজ’ ও সরকারি ব্র্যান্ডের তকমা দিয়ে বাজারজাত করা হয়। যখন আজকালকার আয়ুর্বেদিক সংস্থাগুলো ক্রমশ বাজারে জাঁকিয়ে বসছে, তখন ডুবতে বসেছে এই নরম কাঠের এই শিল্প।

    ডুয়ার্সের ওদলাবাড়িতে ঘিস নদী পেরিয়ে জাতীয় সড়কের ধারে এই দপ্তরের কয়েক বিঘা নিজস্ব জমি রয়েছে। সেই জমি ভেষজ উদ্ভিদ চাষের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছিল বটে। কিন্তু সেখানে কবে শেষ ভেষজ গাছ–গাছালির চাষ হয়েছিল, তা মনে পরে না স্থানীয় বাসিন্দাদের।

    উত্তরবঙ্গের এই দপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয় রয়েছে শিলিগুড়িতে। বেশকিছু সময় আগে ডিএফও অবসর গ্রহণ করেছেন। কিন্তু এখনও সেই পদে নতুন কেউ যোগ দেননি। আর এদিকে, অভিভাবকহীন দপ্তরের একের পর এক জনপ্রিয় কাজ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সেখানে সীমানা প্রাচীর বা প্রবেশ দ্বার বলে এখন কিছুই নেই।

    জঞ্জাল ও আগাছায় ভরে গিয়েছে গোটা এলাকা। এ দিকে, দপ্তরের মন্ত্রী বীরবাহার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তি‍নি ফোন ধরেননি। স্থায়ী ডিএফও না আসা পর্যন্ত বৈকন্ঠপুরের ডিএফওকে অস্থায়ী ভাবে এখানকার দায়িত্বে রাখা হয়েছে বলে জানালেন দপ্তরের অন্য এক আধিকারিক। কিন্তু বৈকন্ঠপুরের এত বড় এলাকা সামলে তাঁর পক্ষে এই কাজ করা কতটা সম্ভব ব তা নিয়েও নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে এলাকাপ বিভিন্ন মহলে।

  • Link to this news (এই সময়)