বিধান সরকার: রাত পোহালেই দোল। 'যাঁরা উত্সবে বাধা দেয়, তাঁদের উল্টো করে ঠাঙানো উচিত', ফের বেলাগাম দিলীপ ঘোষ। বললেন, 'দুর্যোধনরা আমাদের ধর্ম-সংস্কৃতিকে অপবিত্র করছে। তাঁদেরকে প্রকাশ্যে জুতো মারা উচিত'।
দিলীপ বলেন, 'আমি খবরে দেখলাম, শান্তিনিকেতনে নাকি ফরেস্ট ডিপার্টমেন্ট বলেছে হোলি খেলা যাবে না। এত লোক খেললে নাকি সেখানে দূষণ হবে। আমি জানি না, কার মাথায় এটা এসেছে। এটা বলার স্পর্ধা কে করতে পেরেছে! আমাদের উত্সবে দুষণ হয়, ধুলো হয়, বাকি দুনিয়াতে কারও কিছু হয় না। তাঁকে উল্টো করে টাঙানো উচিত ওখানটায়, যাঁরা আমাদের উত্সবে বাধা দেয়। দুর্যোধনরা আমাদের ধর্ম-সংস্কৃতিকে অপবিত্র করছে। তাঁদেরকে প্রকাশ্যে জুতো মারা উচিত'। সঙ্গে হুঁশিয়ারি, এই স্পর্ধা যেন কারও না হয়'।
ঘটনাটি ঠিক কী? গত কয়েক বছর ধরেই বিশ্বভারতীতে বসন্তোত্সবে সাধারণের প্রবেশ নিষেধ। সোনাঝুরি ও খোয়াইয়ে বসন্তোত্সব পালন করেন পর্যটকরা। কিন্তু এবার সেখানে বসন্তোত্সব পালনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল বন দফতর। কেন? মানুষের ভিড়ে ও গাড়ি থেকে নাকি দূষণ ছড়াচ্ছে! বোলপুর বন দফতর জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল,'সংরক্ষিত বনাঞ্চলে আবীর খেলা যাবে না'। তবে আজ, বৃহস্পতিবার অবশ্য সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে বীরভূমের পুলিসের বিরুদ্ধে বসন্তোত্সব পালনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, 'অ্যাডিশনাল এসপি বলছে, আপনারা জানেন শুক্রবার দোল পড়েছে, ১০টার মধ্যে যা করার করে নেন'। আজ, বৃহস্পতিবার ফেসবুকে পোস্ট সেই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে পুলিস।
বিশ্বভারতীতে শেষবার 'উন্মুক্তভাবে' বসন্ত উত্সব হয়েছিল ২০১৯ সালে। এরপর ২০২০ সালে করোনার পর থেকে 'উন্মুক্তভাবে' এই উত্সব হয়নি। ২০২৩ বসন্তে কোনও উত্সবই হয়নি। পালিত হয়েছিল 'বসন্ত বন্দনা'। গতবছর ২০২৪ সালে অবশ্য় বসন্ত উত্সব হয়েছিল বিশ্বভারতীতে, তবে শুধুমাত্র ছাত্র, শিক্ষক ও আধিকারিকদের উপস্থিতিতেও। এবার তাই-ই হবে।