জি ২৪ জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মুখ্যমন্ত্রীর উল্টো সুর! দোল উপলক্ষ্যে ৩ দিন নবদ্বীপবাসীদের নিরামিষ খাওয়ার নিদান দিলেন তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার চেয়ারম্যান বিমানকৃষ্ণ সাহাই! বললেন, 'আমাদের হিন্দু ধর্মে বিশেষ বিশেষ পুজো পার্বণে নিরামিষ খেয়ে থাকি'। বিতর্ক তুঙ্গে।
রাত পোহালেই দোল। রঙের উত্সবে মেতে উঠবে গোটা রাজ্য। প্রতি বছর দোলের সময়ে লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয় চৈতন্য ভূমি নবদ্বীপে। চেয়ারম্যান বিমানকৃষ্ণ সাহা বলেন, 'তাঁরা অধিকাংশই নিরামিষভোজী, চৈতন্যদেবকে স্মরণ করে তাঁরা আসেন। তাহলে তাঁরা এসে দেখবেন দৃশ্যদূষণটা! রাস্তায় এই কোনায় খাসি কাটছে, ওই কোনায় খাসি কাটছে। মুরগি কাটছে'। জানান, নবদ্বীপবাসীর কাছে আমরা পুরসভার পক্ষ থেকে আবেদন রেখেছি, আমিষ ত্যাগ করে নিরামিষ এই তিনদিন আমরা খাব। আমরা তো কোনও আইন প্রণয়ণ করতে পারি না। এটা আইন নয়, আবেদন'।
নিরামিষ খাওয়া বা মাংসের দোকান বন্ধের নিদান হামেশাই দেন বিজেপির নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক ও সাংসদরা। বস্তুত, বিজেপি শাসিত রাজ্যে আমিষ নিষিদ্ধ করা বা মন্দিরের পাশে মাংসের বন্ধের সরকারি সিদ্ধান্তেও বিতর্ক হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য এসবের বিরোধী। তাঁর মতে, 'কে কী খাবে, তার নিজের অধিকার। আমিষও ভালো, নিরামিষও ভালো। যেভাবে খেয়ে অভ্যস্ত। আমায় যদি বলেন মাছ খাবেন না, আমি থোড়াই শুনব'। তাহলে তাঁর দলেরই পুরপ্রধানে কেন এমন নিদান? প্রশ্ন উঠেছে।
এদিকে দোলে নিরামিষ খাওয়াকে সমর্থনই করেছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু তাঁদের প্রশ্ন, 'যাঁরা মাছ ও মাংস বিক্রেতা, তাঁরা তো গবীর মানুষ। একদিন কাজ না হলে চলে না। তাঁদের বিকল্প রোজগারের কী করেছেন বা তিন-চারদিনের ভাতা কী দিচ্ছেন'? সঙ্গে দাবি, 'তাঁদের কোনও দায়িত্ব না নিয়ে এইকথা চেয়ারম্যান একথা বলতে পারেন না'।