জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অবশেষে পদত্যাগ। পানিহাটি পুরসভার পদত্যাগী চেয়ারম্যানের মুখে এবার 'খেলা শুরু'! বললেন, 'যতক্ষণ পর্যন্ত না কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত চেয়ারম্যানের কাজ আমি করতে পারি'।
সূত্রের খবর, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুই প্রতিনিধির হাত দিয়ে SDO-র কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন পানিহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান মলয় রায়। চিঠিতে উল্লেখ, 'মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই পানিহাটি পুরসভা থেকে আমি পদত্যাগ করছি'। এদিন মলয় বলেন, 'খেলা চলছে। এই চলতে চলতে এইখান থেকে ৭ দিন চলবে। বোর্ড মিটিং ডাকা হবে। অনাস্থা প্রস্তাবের ব্যাপার আসবে। আমি পদত্যাগপত্র পেশ করেছি, অনেকে ড্রেস পরা শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই মাঠে নেমে গিয়েছে। বিরোধী যাঁরা, ভিত্তিহীন অভিযোগ করুক। বা অভিযোগ সত্য প্রমাণ করার জন্য দাঁড়িয়ে থাকুন। আমাদের কাউন্সিলর ছাড়াও সিপিএমের কাউন্সিলর আছে, কংগ্রেসের কাউন্সিলর আছে'।
বিজেপি নেতা অর্জুন সিংয়ের পাল্টা কটাক্ষ, 'শুনেছি যেটা আমি, তিনি নাকি মেলে লিখেছেন, আমি পদত্যাগ করছি মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নির্দেশে। কতটা গ্রহণযোগ্যতা আছে, আমি জানি না। আসলে পশ্চিমবঙ্গে তো আইনের শাসন নেই। শাসকের রাজনীতি। শাসকের ইচ্ছা হলে আপনি থাকবেন, ইচ্ছা না থাকলে থাকবেন না'।
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার। সেদিন সকালে ফোন করে পানিহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান মলয় রায়কে পদ ছাড়ার নির্দেশ দেন খোদ পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সন্ধ্যায় সন্ধ্যায় চেতলার বাড়িতে দিয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন তিনি। এরপর মলয় নিজেই জানান, 'মন্ত্রীর কাছে ইস্তফাপত্র দিয়েছি। SDO-কেও দিয়ে এসেছি'।
গতকাল, বুধবার আবার সেই মলয়ই বলেন, 'আমি, আমার মুখ্যমন্ত্রী কথা, পুরমন্ত্রীর কথা, কালকে আমি পাবলিকলি শুনিয়ে দিয়েছি। সারা বাংলার মানুষ শুনে নিয়েছে। আমি খুশি'। ইস্তফা দেবেন না দেবেন না? সাফ জানিয়ে দেন, 'সে তো পরের কথা। দেখা যাক, সবে ঘুম থেকে উঠলাম। স্নান খাওয়া করলাম। দেখি চিন্তাভাবনা করে। আমি আমার যা বক্তব্য, যা অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীকে কাল চিঠি দিয়েছি। ববি হাকিমকে হাতে হাতে চিঠি দিয়েছি। চিঠির উত্তর তো আমি বলতে পারব না। আমি অপেক্ষা করছি, ববি হাকিমের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, আসার অপেক্ষা করছি'।