উত্তেজক মন্তব্যের জের, হুমায়ুন কবীরকে শোকজ তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির
প্রতিদিন | ১৪ মার্চ ২০২৫
মলয় কুণ্ডু: সতর্ক করা সত্ত্বেও বারবার উত্তেজক মন্তব্য, দলের শৃঙ্খলারক্ষায় ঔদাসীন্য। এবার বিরোধী দলনেতার সঙ্গে ধর্ম সংক্রান্ত বাগযুদ্ধে জড়িয়ে ফের দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির শোকজের মুখে পড়লেন ভরতপুরের ‘বিতর্কিত’ বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় এনিয়ে একপ্রস্ত আলোচনা হয়। হুমায়ুনের বিরুদ্ধে দল কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে, এমন কথা শোনা গিয়েছিল। এরপর অবশ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এনিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ভরতপুরের বিধায়ককে শোকজ করল তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে জবাব দিতে হবে। অন্যদিকে, আরেক বিধায়ক তথা মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকেও যে কোনও মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে বলে খবর।
শুভেন্দু অধিকারীর মুসলিম বিধায়কদের ‘চ্যাংদোলা করে রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলা’ মন্তব্য থেকে এই বাগযুদ্ধের সূত্রপাত। এই মন্তব্যে খেপে পালটা তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের বক্তব্য ছিল, ”আমাকে মারতে এলে রসগোল্লা খাওয়াব নাকি? ঠুসে দেব। ক্ষমতা থাকলে মুর্শিদাবাদে আসুন, দেখে নেব।” পরপর দু’দিন এনিয়ে এমন উসকানিমূলক মন্তব্যের জেরে এবার দলের তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিল। তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি হুমায়ুনকে শোকজ করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব তলব করেছে।
বৃহস্পতিবার বিধানসভা অধিবেশনের পর বিকেলে মন্ত্রিসভার বৈঠক ছিল। সূত্রের খবর, সেখানেই হুমায়ুন কবীরের এহেন মন্তব্য নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর পরামর্শক্রমেই শোকজ করা হয়েছে ভরতপুরের বিধায়ককে। এনিয়ে দু’বার দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির শোকজের মুখে পড়লেন হুমায়ুন। নিয়ম অনুযায়ী, আরও একবার শোকজ করা হলে তারপর সাসপেন্ড হবেন তিনি।
ধর্ম নিয়ে শাসক-বিরোধী তরজার মাঝে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীও বেফাঁস মন্তব্য করেছিলেন। তাই তাঁকেও সতর্ক করা হয়েছে ক্যাবিনেট বৈঠকে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আপাতত কোনও কথা বলতে পারবেন না সিদ্দিকুল্লা।