• ২ মাস আগে ‘বাংলার বাড়ি’র টাকা ঢুকলেও কেন শুরু হয়নি কাজ? বাইক নিয়ে হানা বিডিও-র
    এই সময় | ১৪ মার্চ ২০২৫
  • প্রায় দু'মাস আগে বাংলার বাড়ি নির্মাণের জন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে টাকা। অভিযোগ, বহু উপভোক্তা এখনও বাড়ি তৈরীর কাজ শুরু করেননি। বাংলার বাড়ি-র টাকা পেলেও কেন বাড়ি তৈরিতে গড়িমসি? সেই সমস্ত উপভোক্তাকে চিহ্নিত করে কেন এখনও বাড়ি তৈরির কাজ শুরু হয়নি, সেই উত্তর খুঁজতে হাজির হলেন স্বয়ং বিডিও।

    বাইক চালিয়ে সুবর্ণরেখা নদীর তীরবর্তী গ্রামের অলিগলিতে উপভোক্তার বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রশ্নের উত্তর খুঁজচ্ছেন গোপীবল্লভপুর এক নম্বর ব্লকের বিডিও শ্যামসুন্দর মিশ্র। ব্লকের কেবলমাত্র একটি বা দু’টি বাড়ি নয়, প্রায় ৬৫০ টি উপভোক্তার বাড়িতে হানা দিয়েছেন বিডিও। বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে সঙ্গে ছিলেন বিডিও অফিসের আধিকারিক, পঞ্চায়েত সমিতির আধিকারিক এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের আধিকারিকরা ।

    জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার গোপীবল্লভপুর বিডিও অফিস থেকে বিডিও, জয়েন্ট বিডিও-সহ প্রায় ৮০ জনের একটি দল বেরিয়ে পড়ে। ব্লকের আলমপুর, অমড়দা, গোপীবল্লভপুর , সারিয়া , কেঁদুবাড়ী, সাতমা ও শাশড়া এই সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েতে ভাগ হয়ে খোঁজ নেন বাংলার বাড়ি-এর টাকা প্রাপকদের। আবার গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে সাত-আটটি দলে ভাগ হয়ে উপভোক্তাদের বাড়িতে বাড়িতে হানা দেন বিডিও-সহ বিডিও অফিস ও পঞ্চায়েত স্তরের কর্মীরা।

    বিডিও শ্যামসুন্দর মিত্র বলেন,‘পঞ্চায়েত ও গ্রাম উন্নয়ন দপ্তরের সচিব বুধবারই কনফারেন্সের মাধ্যমে জানিয়েছেন, যে সমস্ত বাড়ির কাজ এখনও শুরু হয়নি সেই বাড়িগুলির কাজ অবিলম্বে শুরু করতে হবে। গোপীবল্লভপুরের ছোট ছোট গ্রামে পৌঁছে যাওয়ার জন্য বাইকে করে উপভোক্তাদের বাড়ি বাড়ি যাওয়া হয়।’

    কাজ শুরুতে বিলম্বের কারণ হিসেবে বিডিও বলেন, ‘খবর নিয়ে দেখা গিয়েছে রাজমিস্ত্রির এবং বাড়ি নির্মাণের সামগ্রীর অভাবে কিছু উপভোক্তা এখনও কাজ শুরু করতে পারেননি। তাঁদের দ্রুত কাজ শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রথম কিস্তির টাকায় কাজ শেষ করলে, দ্রুত দ্বিতীয় কিস্তির টাকাও তাঁরা পেয়ে যাবেন বলে জানানো হয়েছে।’

    বাংলার বাড়ির কাজের খোঁজ খবর নেওয়ার পাশাপাশি এলাকার মানুষজন রাজ্য সরকারের লক্ষ্মীর ভান্ডার, স্বাস্থ্য সাথী, খাদ্য সাথী-সহ অন্যান্য পরিষেবা ঠিকমতো পাচ্ছে কিনা সেই প্রসঙ্গেও খোঁজ নেয় বিডিও।

    গোপীবল্লভপুর এক নম্বর ব্লকের সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ২৭৫৯টি বাড়ি তৈরির জন্য প্রথম পর্যায়ের টাকা উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকে গিয়েছে । বিডিও শ্যামসুন্দর মিশ্র আরও বলেন, ‘৮২ শতাংশ উপভোক্তা বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। তিন দিনের মধ্যেই বাকি

    ১৮ শতাংশ উপভোক্তা বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করবে। উপভোক্তাদের পাশাপাশি এলাকার রাজমিস্ত্রি ও বাড়ি নির্মাণের সামগ্রী সরবরাহকারীদের সাথেও কথা বলেছি।’

  • Link to this news (এই সময়)