• রোজা ভাঙার মিষ্টিমুখে বসন্ত উৎসবের সূচনা, সম্প্রীতির নজির হুগলিতে
    এই সময় | ১৪ মার্চ ২০২৫
  • প্রদীপ চক্রবর্তী, চণ্ডীতলা

    সারা দিন রোজা করার পর মুসলিম সংখ্যালঘুদের ইফতার করিয়ে বসন্ত উৎসবে সামিল হয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির গড়লেন চণ্ডীতলার বাসিন্দারা। শুক্রবার বিকেলে চণ্ডীতলার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে গরলগাছা হাইস্কুল মাঠে বসন্ত উৎসব শুরুর আগে খেজুর, তরমুজ, শসা ও মিষ্টি দিয়ে শেখ মিখাইল, জাহিদ আলি মোল্লা, সেলিম মল্লিক, মহম্মদ আলি মোল্লাকে জল খাইয়ে রোজা ভাঙালেন অভিষেক ঘোষ, সঙ্কেত মণ্ডল, অনুপম গঙ্গোপাধ্যায় ও কৌশিক দাসের মতো অনেকে।

    প্রয়াত সঙ্গীত শিল্পী রাশিদ খান ও তবলিয়া উস্তাদ জাকির হোসেনের নামাঙ্কিত মঞ্চে ধামসা, মাদল, ঢাক, বিউগল, খঞ্জনি বাজিয়ে রণপা, ছৌ নাচের মতো বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির নিদর্শন ফুটিয়ে তোলেন জেলার লোকশিল্পীরা।

    প্রায় দেড় দশক ধরে হুগলি গ্রামীণ এলাকায় সম্প্রীতির উৎসব ও আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া পড়ুয়া থেকে অসুস্থ রোগীদের সহযোগিতা করে আসছে চণ্ডীতলার প্রকৃতি। রয়েছে ন্যায্য মূল্যে আইসিইউ অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা। এ দিন অনুষ্ঠান মঞ্চে হাজির ছিলেন জেলাশাসক মুক্তা আর্য, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায়–সহ অন্যান্যরা।

    এ দিন শেখ মিখাইল, সেলিম মল্লিকেরা বলেন, ‘চণ্ডীতলার বিরাট অংশে সংখ্যালঘু পরিবারের বাস। হিন্দুরাও আমাদের সঙ্গে বসবাস করছে বহুকাল ধরেই। জাতপাতের ঊর্ধ্বে উঠে গ্রামীণ এলাকার আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য কাজ করব বলেই অভিষেক, কৌশিক, সঙ্কেতদের সঙ্গে একজোট হয়ে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা তৈরি করেছি।’

    এলাকার থ্যালাসেমিয়া, ক্যান্সারের মতো জটিল ও কঠিন রোগে আক্রান্তদের আর্থিক সাহায্য করা বা চিকিৎসার ব্যবস্থা করার কাজ করে ওই সংগঠন।

    প্রদীপ বোধক বলেন, ‘সমাজের জন্য কাজ করার লক্ষ্যেই এই সংগঠন তৈরি হয়। মাটির সঙ্গে থাকব বলেই সংগঠনের নাম প্রকৃতি।’ সুবীর বলেন, ‘মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়া থেকে এলাকার অসুস্থ রোগীদের নানাবিধ সাহায্য আমরা করি। দোল ও হোলির শুভেচ্ছা সম্প্রীতির বার্তা দিতেই দু’দিন অনুষ্ঠান হবে।’

  • Link to this news (এই সময়)