মিল্টন সেন,হুগলি: দোলের দিন সাধারনত রাধাকৃষ্ণ পুজোর চল রয়েছে। কিন্তু শ্রীরামপুর দে পরিবারে হয়ে আসছে মহিষমর্দিনী পুজো। একদা শ্রীরামপুরে জমিদারি ছিল দে পরিবারের। পরিবারের দুই সদস্য পুলিন বিহারী দে এবং নগেন্দ্র নাথ দে ১২১২ বঙ্গাব্দে শ্রীরামপুরের পঞ্চানন তলায় দোলের দিন মহিষমর্দিনী পুজার প্রচলন করেন।
মহিষমর্দিনী আদতে দুর্গারই আরেক রূপ। এখানে প্রতিমার পাশে কার্তিক, গনেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতী নয়, পরিবর্তে দুর্গার দু’পাশে দুই সখী জয়া-বিজয়া বিরাজমান । দুর্গাপুজোর মতোই রীতি মেনে চারদিন ধরে পুজো হয়। এক সময় এই পুজোয় মহিষ বলিও হত। পরে তা বন্ধ হয়।
কালের নিয়মে দে পরিবারের পুজো বারোয়ারী রূপ পেয়েছে। ১৯৭০ সাল থেকে স্থানীয় শ্রীরামপুর টাউন ক্লাবের পরিচালনায় এই ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন পুজো হয়ে আসছে। পুজো উপলক্ষে এলাকার মানুষকে অষ্টমীর দিন পংক্তি ভোজন করানো হয়। পুজোর তিন দিন ধরে অনুষ্ঠিত হয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আগে যাত্রা পালা ,কবিগান হত।
দোলের দিন সকালে প্রতিমার পায়ে আবির মাখিয়ে এলাকার মানুষ নিজেদের মধ্যে আবির খেলায় মেতে ওঠেন।