• ৪৪ হাজার কোটি টাকার গ্রামোন্নয়ন বাজেটে ছাড়পত্র
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ১৪ মার্চ ২০২৫
  • রাজ্য বাজেটে গ্রামের উন্নয়নের জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে বরাদ্দ করা হয়েছিল ৪৪ হাজার ১৩৯ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা টাকা, এরপর বৃহস্পতিবার সেই অনুমোদনের সবটাই বিধানসভায় মঞ্জুর করল রাজ্যের অর্থ দফতর। তার মধ্যে পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন বিভাগে বড় প্রকল্পের জন্য মঞ্জুর করা হয়েছে ২৮২২.০৭৮০ কোটি (দু’হাজার আটশো বাইশ কোটি সাত লক্ষ আশি হাজার) টাকা।

    বৃহস্পতিবার বিধানসভায় সরকারের হয়ে আলোচনায় যোগ দেন শাসকদলের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী, শেখ শাহনওয়াজ, শ্যামল মণ্ডল, সুকান্ত পাল, সমীর জানা, বীণা পাল, শওকত মোল্লারা। বিরোধী বিধায়কদের মধ্যে ছিলেন বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। তিনি বলেন, ‘গ্রামীণ অর্থনীতিতে আমরা পিছিয়ে রয়েছি। পরিসংখ্যান বলে দেশের মধ্যে আমরা ১৩ নম্বরে। আমাদের গ্রামে জনপ্রতি খরচের ক্ষমতা ১২ টাকা।’

    অধিবেশনে বিজেপি বিধায়কদের অনুপস্থিতি নিয়েও শাসকদলের দিকে আঙুল তুলেছেন তিনি। অভিযোগ, রাজ্যের শাসক ‘বিমাতৃসুলভ’ আচরণ করছে। তাঁর বক্তব্যের জবাব দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। তিনি কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা তুলে ধরেছেন। তাঁর দাবি, ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে বিজেপির ‘স্বপ্নভঙ্গ’ হওয়ার ফলে পরবর্তী কালে গ্রামোন্নয়ন এবং অন্যান্য দফতরকে কেন্দ্র সহায়তা বন্ধ করেছে।

    পাথরপ্রতিমার বিধায়ক জানান, কেন্দ্রীয় বঞ্চনা থাকা সত্ত্বেও যে ভাবে রাজ্য অর্থ জোগাড় করে কাজ করছে, তা অকল্পনীয়। ১০০ দিনের কাজের টাকা কেন্দ্র দিচ্ছে না। নাম না করে তিনি সমালোচনা করেন বিজেপির। তাঁর আরও দাবি, মুখ্যমন্ত্রী নিজের টাকায় ১২ লক্ষ আবাস করে দিচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী দলের জন্য কাজ করেন না, সকলের জন্য কাজ করেন। প্রদীপ জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী দু’বার দেখা করেছেন, চিঠি দিয়েছেন। তার পরেও কাজ হয়নি।

     
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)