জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নিশানায় শুভেন্দুর অধিকারী। 'নন্দীগ্রামে এবার ওকে হারিয়ে ছাড়ব', বিরোধী দলনেতাকে এবার হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, 'বিধায়ক হিসেবে মেয়াদ মাত্র ১ বছর। তারপরে রাস্তায় ঘুরে বেড়াবে'।
তখন সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু। একুশের বিধানসভা ভোটে তাঁর বিরুদ্ধে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে প্রার্থী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কিন্তু জিততে পারেননি। তৃণমূলনেত্রীকে ১৯৫৬ ভোটের ব্যধধানে হারিয়ে দেন শুভেন্দু। গণনায় কারচুপির অভিযোগে এখন মামলা চলছে হাইকোর্টে।
কল্য়াণ বলেন, 'শুভেন্দু অধিকারী, হাইকোর্টের আর্শীবাদ আছে বলে ঘুরে বেড়াচ্ছে, আর বড় বড় কথা বলছে। না হলে এতদিন ওর জেলেখানাতে থাকার কথা ছিল, জেলখানাতেই থাকত। এভাবে কখনও নেতা হওয়া যায় না। যে প্রত্যেকটা ধর্মের মানুষকে সম্মান করতে পারে, প্রত্যেক জাতির মানুষকে সম্মান করতে পারে, সেই নেতা হয়। রাজনীতিতে এসে যারা ভেদাভেদ করে তারা রাজনীতিতে থাকার যোগ্য নয়। একটা ধর্মের মানুষকে আরেকটা ধর্মের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে দেয়'। তৃণমূল সাংসদের দাবি, দিল্লিতে অনেক বিজেপির বড় বড় নেতা শুভেন্দু কে পছন্দ করছেন না'।
চুপ করে থাকেননি শুভেন্দু। তিনি বলেন, 'এসব কথা একুশের আগেও বলেছে। মানুষ তার উত্তর দিয়েছে। এবারেএও মানুষ তার উত্তর দেবে। এই ধরণের অর্বাচীনদের কথা, শহিদ মিনারে দাঁড়িয়ে বলতে চাই না। আজকে দোল পূর্ণিমা, এসব নাম মুখে আনলে গোটা শরীর অপবিত্র হবে'।
এর আগে, বুধবার শুভেন্দুর চ্যাংদোলা মন্তব্য়ে উত্তাল হয়ে ওঠে বিধানসভা। বিধানসভা বাইরে তখন বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন বিজেপি বিধায়ক। মুখ্যমন্ত্রীকে ভবানীপুরে হারানো চ্য়ালেঞ্জ ছুঁড়েছিলেন শুভেন্দু। বলেছিলেন, 'ছাব্বিশে ভবানীপুরে হারাব। আরও ৫ বছর হারার যন্ত্রণা বয়ে বেড়াতে হবে। যেভাবে নন্দীগ্রামে হারার যন্ত্রণায় চিত্কার করছেন। আপনি লোকসভা ভোটে আমার এলাকায় দাপিয়ে বেড়িয়েছেন। তার পরেও ১৬টা বিধানসভার ১৫টাকে কাঁথি, তমলুকে গোহারান হেরেছেন'।