• দোলে রক্তাক্ত টিটাগড়, রং খেলার নামে ডেকে কুপিয়ে ‘খুন’ তৃণমূল নেতা ঘনিষ্ঠ যুবক
    প্রতিদিন | ১৪ মার্চ ২০২৫
  • অর্ণব দাস, বারাকপুর: দোলের দিনে রক্তাক্ত টিটাগড়। রং খেলার নামে ডেকে তৃণমূল কাউন্সলর ঘনিষ্ঠ এক যুবককে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ। দোল খেলার উদ্দীপনার মাঝেই যুবককে একের পর এক ছুরির কোপ মারা হয় বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। আহত যুবককে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে আর জি মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। জানা গিয়েছে, নিহতের নাম আকাশ  যাদব ওরফে অমর। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার নাম পবন রাজভড়। বাকিরা পলাতক। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে খড়দহের ১৩ নং ওয়ার্ড এলাকার অন্তর্গত টিটাগড়ের জয়শ্রী কেমিক্যালসের সামনে চলছিল দোল খেলা। তার মাঝে আকাশকে রং খেলার জন্য ডেকে আনে কেউ বা কারা। তিনি সেখানে পৌঁছতেই রংমাখা কয়েকজন যুবক ছুরি দিয়ে তাকে এলোপাথাড়ি কোপ মারে বলে অভিযোগ। রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন আকাশ। তড়িঘড়ি রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। দোলের আনন্দের মাঝে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ডে নিমেষে শোকের ছায়া এলাকায়।

    এক প্রত্যক্ষদর্শীর  কথায়, ”সকাল থেকে এখানে হোলি খেলা চলছিল। তার মাঝে এসে কয়েকজন উত্তেজনা করে। স্থানীয়রা তাদের সরিয়ে দিয়েছিল। তারপর সওয়া ১টা নাগাদ এখানে নমাজ হল। আমরা সবাই শান্তিতেই নমাজ পড়লাম। তারপরই শুনলাম, জয়শ্রী কেমিক্যালসের সামনে আকাশ বলে একটা ছেলেকে রং খেলার নামে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায়, পেটে কোপানো হয়েছে। কানাই তিওয়ারি, পবন রাজভড়রা নাকি এরকম করেছে। পবনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে শুনেছি। আমরা চাই, আজকের দিনে এভাবে একজনকে খুন করার কঠোর শাস্তি হোক ওর, যেন ছাড়া না পায়।”

    বারাকপুর পুলিশের তরফে ডিসি, সেন্ট্রাল ইন্দ্রবদন ঝা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তিনি জানান, ”আমরা আধঘণ্টা আগে খবর পাই,  খড়দহ পুরসভা এলাকার  ১৩ নং ওয়ার্ডে একটা ঝামেলা হয়েছে। দু-তিনজন মিলে একজনকে কুপিয়ে দিয়েছে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে এখানে আসি। আহতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে বাঁচানো যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছি। কীভাবে কী ঘটল, দেখতে হবে।” পুলিশ সূত্রে খবর, তিনজনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তারা হল পবন রাজভড়, রাজ তিওয়ারি ও কানাই তিওয়ারি। পুরনো কোনও শত্রুতার জেরে এই ঘটনা বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
  • Link to this news (প্রতিদিন)