• রামনবমীতে নন্দীগ্রামে শুরু রামমন্দির নির্মাণ, শহিদ মঞ্চে দাঁড়িয়ে ঘোষণা শুভেন্দুর
    প্রতিদিন | ১৪ মার্চ ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নন্দীগ্রামে শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে রামমন্দির তৈরির ঘোষণা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। ৬ এপ্রিল রামনবমীর দিন নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ায় মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হবে বলে ঘোষণা করলেন শুভেন্দু। এদিন সোনাচূড়া গ্রামে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির শহিদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপণ করেন তিনি।

    সোনাচূড়া গ্রামে প্রায় সাড়ে তিন বিঘা জমির উপর রাম মন্দির তৈরির কথা আগেই জানিয়ে ছিলেন শুভেন্দু। এক বছরের মধ্যে সেই নির্মাণ শেষ হবে জানিয়েছিলেন তিনি। এদিন শহিদের শ্রদ্ধা জানানোর মঞ্চ থেকে সেই কথা আবারও জানালেন তিনি। শুভেন্দু বলেন, “রাম নবমীর দিন মন্দির নির্মাণ শুরু হবে। নন্দীগ্রামের দক্ষিণপ্রান্তে সোনাচূড়াতে মন্দিরের নির্মাণ শুরু হবে। এখানে অয্যোধা রাম মন্দিরের আদলে মন্দির তৈরি হবে।”

    বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই জাতপাতের রাজনীতি শুরু করেছে বিজেপি। এমন অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে তৃণমূল। বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের মুসলিম বিধায়কদের ‘চাংদোলা’ করে রাস্তায় ফেলে দেওয়ায় মন্তব্যে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। তেতে ওঠে বিধানসভা। এদিকে, তৃণমূল ও বিজেপি ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ তুলছে কংগ্রেস ও সিপিএম। সেই আবহে নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে ফের শুভেন্দুর মুখে রাম নাম। 

    এদিকে, শহিদদের স্মরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টে মমতা লিখলেন, “কৃষক দিবসে নন্দীগ্রামে কৃষিজমি রক্ষা আন্দোলনের শহিদদের স্মৃতির প্রতি আমার গভীর সমবেদনা।”

    নন্দীগ্রাম মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হৃদয়ের খুব কাছের। ২০০৭ সালের মর্মান্তিক ঘটনা আজও ভুলতে পারেননি তিনি। সেই মর্মান্তিক ঘটনাকে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের সঙ্গে তুলনা করেন মমতা। নন্দীগ্রামে ভূমিউচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির নেতৃত্বে জমি রক্ষা আন্দোলনের সময় ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ পুলিশ অভিযান চালায়। ওইদিন পুলিশের গুলিতে ১৪ জন গ্রামবাসীর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। নিহতদের স্মরণে প্রতি বছর ১৪ মার্চ রাজ্য জুড়ে নন্দীগ্রাম দিবস পালন করে তৃণমূল-সহ বিভিন্ন সংগঠন। ২০২১ সালে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদানের পর নন্দীগ্রাম দিবসও ভাগ হয়েছে। এখন আলাদা আলাদা কর্মসূচি পালন করে তৃণমূল ও বিজেপি।
  • Link to this news (প্রতিদিন)