সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নন্দীগ্রাম দিবসেই দোল। উৎসবের মধ্যেও শহিদদের স্মরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে মমতা লিখলেন, “কৃষক দিবসে নন্দীগ্রামে কৃষিজমি রক্ষা আন্দোলনের শহিদদের স্মৃতির প্রতি আমার গভীর সমবেদনা। আমাদের মা-মাটি-মানুষের সরকার এভাবেই আমাদের কৃষকবন্ধুদের পাশে থাকবে।” তাঁর আমলে গত ১৪ বছরে বাংলায় কৃষকরা কতটা সুরক্ষিত, সেটাও তুলে ধরেছেন তিনি।
নন্দীগ্রাম দিবসে সোশাল মিডিয়ায় মমতা লিখলেন, “আমাদের কৃষকরা সারা বছর অক্লান্ত পরিশ্রম করে আমাদের মুখে অন্ন তুলে দেন। আমি তাঁদের পরিশ্রমকে কুর্নিশ জানাই-তাঁরাই আমাদের গর্ব।” মুখ্যমন্ত্রী দাবি করলেন ক্ষমতায় আসার পর তাঁর সরকার রাজ্যের কৃষকদের আর্থিক স্বচ্ছ্বলতা এবং নিরাপত্তা দুটোরই খেয়াল রেখেছে।
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, “আমাদের সীমিত ক্ষমতায় যতটা করা সম্ভব আমরা বাংলার চাষী ভাই-বোনেদের জন্য করার চেষ্টা করি। ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা, কর্মরত কৃষকদের মৃত্যুতে মৃত্যুজনিত সহায়তা, শস্যবিমার প্রিমিয়ামের সম্পূর্ণ খরচ বহন, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে আর্থিক সহায়তা, ফসলের অভাবি বিক্রি বন্ধ করতে কৃষকদের কাছ থেকে ন্যায্য মূল্যে ধান কেনা, কৃষক পেনশন প্রদান, ১৮৬টি ‘কিষাণ মান্ডি’ চালু করা, বিনামূল্যে কৃষি যন্ত্র প্রদান সবকিছুই আমরা করেছি।” একই সঙ্গে মমতা মনে করান, “২০১৯ সাল থেকে আমাদের সরকার সম্পূর্ণ নিজের অর্থে বাংলা শস্যবিমা প্রকল্প চালু করেছে।”
নন্দীগ্রাম মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হৃদয়ের খুব কাছের। ২০০৭ সালের মর্মান্তিক ঘটনা আজও ভুলতে পারেননি তিনি। সেই মর্মান্তিক ঘটনাকে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের সঙ্গে তুলনা করেন মমতা। নন্দীগ্রামে ভূমিউচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির নেতৃত্বে জমি রক্ষা আন্দোলনের সময় ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ পুলিশ অভিযান চালায়। ওইদিন পুলিশের গুলিতে ১৪ জন গ্রামবাসীর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। নিহতদের স্মরণে প্রতি বছর ১৪ মার্চ রাজ্য জুড়ে নন্দীগ্রাম দিবস পালন করে তৃণমূল-সহ বিভিন্ন সংগঠন। ২০২১ সালে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদানের পর নন্দীগ্রাম দিবসও ভাগ হয়েছে। এখন আলাদা আলাদা কর্মসূচি পালন করে তৃণমূল ও বিজেপি।