• নদীতে নেমে তলিয়ে গেল কিশোর, দোলের দিন একমাত্র সন্তান হারালেন বাবা-মা
    এই সময় | ১৪ মার্চ ২০২৫
  • দোল উৎসবের দিনই মর্মান্তিক ঘটনা মেদিনীপুর শহরে। রং খেলার পরে বন্ধুদের সঙ্গে নদীতে স্নান করতে নেমেছিল তেরো বছরের কিশোর সোহন দাস। সেই সময়ে নদীতে তলিয়ে গিয়ে সে মারা যায়। শুক্রবার দুপুরের ঘটনা। বিকেল ৪টা নাগাদ স্থানীয়দের সহায়তায় কিশোরের দেহ উদ্ধার করে কোতোয়ালি থানার পুলিশ।

    মৃত কিশোর মেদিনীপুর শহরের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের মির্জাবাজার সংলগ্ন কবিরাজপাড়ার বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মহম্মদ সাইফুল। মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র সোহন, বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান।

    শুক্রবার দুপুর ২টো নাগাদ দোল খেলার পরে তিন বন্ধু মিলে কংসাবতী নদীর আমতলা ঘাটে স্নান করতে গিয়েছিল সোহনেরা। সাঁতার জানত না সোহন, তাও নদীতে নামে সে। ঘাট থেকে বেশ কিছুটা এগিয়ে যায়। কিছু ক্ষণ পরে সে তলিয়ে যায় সে। সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার করতে শুরু করে তার সঙ্গীরা। তাদের চিৎকারে সেখানে জড়ো হয়ে যান স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে চলে আসেন স্থানীয় কাউন্সিলর ও সোহনের বাড়ির লোকজনও। পুলিশ পৌঁছনোর আগেই স্থানীয় বাসিন্দারা নদীতে নেমে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।

    খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন কোতোয়ালি থানার আইসি অমিত সিনহা মহাপাত্র, পুরপ্রধান সৌমেন খান। স্থানীয়দের অভিযোগ, উদ্ধারকারী দল নামতে অনেকটাই দেরি করেছে। প্রায় দেড়-দুই ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালানোর পরে, স্থানীয়রাই ওই কিশোরের দেহ উদ্ধার করেন পুলিশের উপস্থিতিতে। পুলিশের ময়না তদন্তের জন্য দেহ পাঠিয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের মর্গে। একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে হাহাকার সোহনের বাবা-মার। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত করার কথা জানিয়েছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। স্থানীয় কাউন্সিলর মহঃ সাইফুল বলেন, ‘এই আমতলা ঘাটে আগেও অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে। পুরসভার তরফে শুধু গান্ধী ঘাটের সংস্কার না করে, আমতলা ঘাটটিও বাঁধানো উচিত। আর সব সময়ের জন্য একটি উদ্ধারকারী নৌকো বা বোট রাখা উচিত।’ পুরপ্রধান সৌমেন খান বলেন, ‘আমরা ধন্যবাদ জানাব স্থানীয় বাসিন্দা কেরামত সাহাকে। উনি নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধার করেছেন। আমরা মহকুমাশাসকের কাছে আবেদন জানিয়েছি, কলকাতার মতো জেলা শহর মেদিনীপুরেও অক্সিজেন সিলিন্ডার-সহ স্থায়ী ডুবুরির ব্যবস্থা করার জন্য।’

  • Link to this news (এই সময়)