• সাঁতার না জেনে জলে ঝাঁপ! দোল খেলে চার জেলায় নদীতে তলিয়ে মৃত্যু পাঁচ জনের
    আনন্দবাজার | ১৪ মার্চ ২০২৫
  • দোলের আনন্দ ম্লান! রং খেলার পরে নদীতে স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে গেলেন চার জেলার পাঁচ জন । মৃতদের মধ্যে রয়েছে যুবক থেকে নাবালক।

    শুক্রবার দুপুর ২টো নাগাদ হাওড়ার শিবপুর ঘাটে বন্ধুদের সঙ্গে গিয়েছিল বেতাইতলার যুবক অতীশ চৌধুরী (১৮)। রং খেলার পরে স্নান করতে গিয়ে তিনি তলিয়ে যান গঙ্গায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় শিবপুর থানার পুলিশ। অতীশের খোঁজে যৌথ তল্লাশি চালায় শিবপুর থানার পুলিশ, রিভার ট্র‍্যাফিক পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। তবে তখনও দেহ পাওয়া যায়নি। এর পর বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ ঘাট থেকে বেশ কিছুটা দূরে ভেসে ওঠে যুবকের দেহ। পুলিশ সূত্রে খবর, ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠানো হয়েছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে। মৃতের দুই বন্ধুকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে। বন্ধুদের অবশ্য দাবি, সাঁতার না জেনে ঘাট থেকে নদীতে ঝাঁপ মেরেছিলেন অতীশ।

    রং খেলে হুগলির বারো মন্দির ঘাটে বন্ধুদের সঙ্গে স্নান করতে গিয়েছিলেন এক যুবক। সেই সময় ভাটা চলছিল গঙ্গায়। তখনই তলিয়ে যান ওই যুবক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় চন্দননগর পুলিশের এসিপি ও উত্তরপাড়া থানার পুলিশ। শুরু হয় তল্লাশি। তবে এখনও দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

    একই ভাবে পশ্চিম মেদিনীপুরে কংসাবতী নদীর আমতলা ঘাটে স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে গিয়েছে বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র সোহন দাস (১৪)। তার বন্ধুরা জানিয়েছে, রং খেলার পর সকলে মিলে নদীতে গিয়েছিল স্নান করতে। সোহন সাঁতার জানত না। তার পরেও গভীরে চলে গিয়েছিল সে। তাদের চিৎকার শুনে স্থানীয়েরা গিয়ে খোঁজা শুরু করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান এলাকার কাউন্সিলর মহম্মদ সাইফুল ইসলাম। খবর যায় কোতোয়ালি থানাতেও। তবে পুলিশ পৌঁছানোর আগেই দেহ উদ্ধার করেন স্থানীয়েরা। মৃতের বাড়ি শহরের ২১ নম্বর ওয়ার্ডে।

    মুর্শিদাবাদেও জলাশয়ে স্নান করতে নেমে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বহরমপুরের রানি নগর থানার রামচন্দ্রপুর এলাকার দুই নাবালক মহম্মদ মণ্ডল (১০) ও তামিম মণ্ডল (১৩) দুপুরে নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় স্নান করতে নেমেছিল বিএসএফ রোডের ধারের একটি পুকুরে। তবে কেউই সাঁতার জানত না। তলিয়ে যায় ওই দুই নাবালক। পুকুরে আরও বেশ কয়েক জন নাবালক স্নান করছিল। তাদের দাবি, মহম্মদ ও তামিম পুকুরের ঘাট থেকে বেশ কিছুটা দূরে চলে গিয়েছিল। দু'জন তলিয়ে যাচ্ছে বুঝতে পেরে ওই নাবালকেরা চিৎকার শুরু করলে স্থানীয়রা পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে খোঁজ শুরু করেন। পরে দু'জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা জানান, দু’জনেরই মৃত্যু হয়েছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মৃতদের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য লালবাগ মহকুমা পুলিশ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)