• অনলাইন কেনাকাটায় খোয়া যায় ১ কোটি ৯৭ লক্ষ! দেড় কোটিরও বেশি ফেরাল কলকাতা পুলিশ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৫ মার্চ ২০২৫
  • অনলাইন প্রতারণার একটি মামলায় ফের একবার বড়সড় সাফল্য পেল কলকাতা পুলিশ। প্রতারণার শিকার হওয়া একটি সংস্থাকে তাদের খোয়া যাওয়া ১ কোটি ৯৭ লক্ষ টাকার মধ্যে ১ কোটি ৫৭ লক্ষ ৩ হাজার ৪০৪ টাকা ফিরিয়ে দিল তারা।

    পুলিশের এই পারফরম্যান্সে অভীভূত আক্রান্ত সংস্থাটি। হারানো অর্থের অধিকাংশ ফেরত পেতেই কলকাতা পুলিশ ও সাইবার সেলকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানিয়ে একটি মেল করে ওই সংস্থার কর্তৃপক্ষ। নিজেদের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে সেই ইমেল বার্তা পোস্ট করে কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সাইবার প্রতারণা রুখতে তারা সর্বদাই সচেষ্ট।

    বিষয়টি নিয়ে কলকাতা পুলিশের সাইবার অপরাধ দমন শাখার তরফে একটি সাংবাদিক সম্মেলনও করেন ডিসি ইন্দিরা মুখোপাধ্য়ায়। তিনি জানান, ওই সংস্থাটির দফতর রয়েছে কলকাতার হেয়ার স্ট্রিট থানা এলাকায়। তারা আমদানি রফতানি-সহ বিভিন্ন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। ব্যবসায়িক কারণেই বেশ কিছু ক্যামেরা কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সংস্থার তরফে।

    সেই মতো সংস্থার কর্মীরা অনলাইনে ক্যামেরা কেনা নিয়ে অনুসন্ধানও করেন। শেষমেশ একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট থেকে ক্যামেরা কেনা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    অভিযোগ, এরপর একটি বিশেষ মোবাইল নম্বর দেওয়া হয় ওই সংস্থাকে। বলা হয়, সেখানেই যোগাযোগ করে পণ্যের দাম পাঠিয়ে দিতে। অন্যদিকে ক্যামেরা কেনার খরচ বাবদ দাম ধার্য করা হয় ১ কোটি ৯৭ লক্ষ টাকা। সংস্থার তরফে এখানেই একটি মারাত্মক ভুল হয়ে যায় বলে জানিয়েছেন ইন্দিরা। তারা আর যাচাই করে দেখেনি, যে মোবাইল নম্বরের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের ওই বিরাট অঙ্কের টাকা পাঠাতে বলা হয়েছিল, সেই নম্বরটি আদৌ ওই ওয়েবসাইটের আসল নম্বর কিনা।

    বিষয়টি যাচাই না করেই সংস্থার তরফে ১ কোটি ৯৭ লক্ষ টাকা অনলাইনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু, তারপর আর ওই মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। পরে পুলিশের তদন্তে উঠে আসে, ওই মোবাইল নম্বরটিই জাল ছিল। সেটি ব্যবহার করা হয়েছিল প্রতারণা করারই উদ্দেশ্য়ে।

    এদিকে, প্রতারণা হয়েছে বুঝতে পেরেই ওই সংস্থার তরফে প্রথমে গত ৩ মার্চ হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।

    সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের এসওপি অনুসারে কাজ শুরু করে দেয় কলকাতা পুলিশের সাইবার অপরাধ দমন শাখা। দেখা যায়, লুট করা ওই টাকা বিহার, ঝাড়খণ্ড-সহ ভারতের একাধিক রাজ্যের অসংখ্য ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্টের মধ্য়ে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে! কিন্তু, পুলিশের তরফে সেই অর্থের অধিকাংশটাই আটকে দেওয়া সম্ভব হয় এবং সংস্থার অ্য়াকাউন্টে ১ কোটি ৫৭ লক্ষ টাকারও বেশি ফিরে আসে!

    কলকাতা পুলিশের আধিকারিক ও তদন্তকারীরা আশা করছেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বাকি টাকারও অধিকাংশটাই তাঁরা সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে ফিরিয়ে দিতে পারবেন।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)