নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইছেন না, তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির অন্যতম সদস্য শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে শো-কজ়ের জবাব দেওয়ার পর জানালেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। শো-কজ়ের জবাব দেওয়ার জন্য তাঁকে সোমবার পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শনিবারই ২ পাতার জবাব পাঠিয়ে দেন হুমায়ুন।
তিনি বলেন, ‘আমি শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে ইতিমধ্যেই জবাব দিয়েছি। শুভেন্দু অধিকারী চ্যাংদোলা করে বাইরে ফেলার মন্তব্যে আমি আঘাত পেয়েছিলাম এবং তার প্রতিবাদ করেছিলাম। এর আগেও শো-কজ় করেছিল দল। আমি উত্তর দিয়েছিলাম। এ বারেও দিয়েছি।’
সম্প্রতি দলের তরফে একাধিক বার শো-কজ় করা হয়েছে তাঁকে। এই প্রসঙ্গ তিনি বলেন, ‘দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এখানে আমার কিছু বলার নেই। আমি তো আসামী। আমি তো আর জজ সাহেবের বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারি না। তিনি রায় দেবেন। আসামীকে হাতজোড় করে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এখানে দলীয় নেতৃত্ব মনে করছে বারবার হুমায়ুন কবীরকে শো-কজ় করতে হবে দলের ভাবমূর্তি বা সাংগঠনিক শক্তি অক্ষুণ্ণ রাখতে। দলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি বা শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনও মন্তব্য করার এক্তিয়ার আমার নেই, করবও না।’
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিধানসভার বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন, ‘২০২৬-এ বিজেপি ক্ষমতায় এলে তৃণমূলের জয়ী মুসলিম বিধায়কদের চ্যাংদোলা করে বাইরে ছুড়ে ফেলা হবে।’ তাঁর এই মন্তব্যের পাল্টা বুধবার বিধানসভায় সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সর্বধর্ম সমন্বয়ের পাঠ দিয়েছিলেন তিনি।
এ দিকে গত বৃহস্পতিবার হুমায়ুন শুভেন্দুর ‘চ্যাংদোলা’ মন্তব্যের পাল্টা বলেছিলেন, ‘একটা বিধায়ককে চ্যাংদোলা করে দেখাক। কত হিম্মত দেখব। আমার কাছে আগে আমার জাতি, তার পর দল। আমার জাতিকে আক্রমণ করলে আমি চুপ থাকব না।’ ওই মন্তব্যের পরেই তাঁকে তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির অন্যতম সদস্য শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় শো-কজ় করেছিলেন।
(তথ্য সহায়তা শুভাশিস সৈয়দ)